সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাফর সুসা এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছে।
আজ বুধবার সিরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এবং এক নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, সকাল প্রায় ৯ টা ৪০ এর দিকে বিমান হামলায় আরও বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছে। আর যারা নিহত হয়েছে তারা বেসামরিক নাগরিক বলে জানানো হয়েছে।
হামলাস্থলের আশেপাশের এলাকাজুড়ে আছে আবাসিক ভবন, স্কুল, ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কড়া নিরাপত্তাধীন এলাকার কাছেই ওই এলাকার অবস্থান।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই এলাকাটি ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছিল। এতে ইরানি সামরিক বিশেষজ্ঞরা নিহত হয়েছিলেন।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ায় বারবারই বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। গতবছর ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সিরিয়ায় এই হামলা আরও বেড়েছে।
বুধবার ইসরায়েলের বিমান হামলা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। কাছের স্কুলের শিশুরা এতে ভয় পেয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকাটিতে অ্যাম্বুলেন্স আসে।
তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি। ইরানের আধা সরকারি স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্ক বলেছে, হামলায় ইরানের কোনও নাগরিক নিহত হয়নি।
তবে গত ডিসেম্বর থেকে সিরিয়ায় ইসরায়েলের চালানো হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অর্ধডজনের বেশি কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল বরাবরই সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতি বাড়তে না দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ সরকার এবং লেবাননে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান।