হজযাত্রীদের জন্য নতুন সুখবর দিলো সৌদি আরব

হজযাত্রীরা এখন থেকে আবাসিক ভবনে থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছে সৌদি আবর। এরমধ্যে মক্কায় হজযাত্রীদর জন্য ১ হাজার ৮৬০ ভবনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এসব অনুমোদিত ভবনে প্রায় ১২ লাখ হজ যাত্রী থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সৌদি গভর্নমেন্ট প্যানেল।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

গালফ নিউজকে মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন মেশাল বলেন, শাওয়াল মাস পর্যন্ত আবাসিক ভবনের লাইসেন্স দেয়া হবে। পবিত্র নগরী মক্কায় হজযাত্রীদের থাকার জন্য লাইসেন্স প্রদানকৃত ভবনের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

এছাড়া আগামী জুনে অনুষ্ঠিতব্য হজে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত একটি নিয়ম বাতিল করেছে সৌদি আরব। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের নাগরিকদের জন্য মক্কার আশে পাশে থাকার স্থান নির্ধারণ করা হবে না। দেশটির হজমন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে চলতি বছর হজযাত্রীদের জন্য গতশুক্রবার (১ মার্চ) থেকে ভিসা প্রদান শুরু হয়েছে। যা আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। চলতি বছরের ৯ মে থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজে যাবেন হজযাত্রীরা।

 

উল্লেখ্য, গতবছর হজ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী ২০ লাখ হজযাত্রী হজ পালন করেন। করোনা মহামারির পর সর্বোচ্চ সংখ্যাক মুসল্লি গত বছর হজ পালন করেন।

 

পবিত্র হজ পালনে এ বছর নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে চার দফা। তবে সৌদি আরবের দেওয়া কোটার প্রায় ৬৩ শতাংশ এখন পর্যন্ত পূরণ হয়েছে।

হজ পালনে যেতে আগ্রহী কয়েকজন ও কিছু এজেন্সির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর ডলারের মূল্য, হজের ব্যয় ও সৌদি আরবে বাড়িভাড়া বেড়েছে। পাশাপাশি পবিত্র ওমরাহ পালনে আগ্রহ বেড়েছে মানুষের। সব মিলিয়ে হজযাত্রী নিবন্ধন কমেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের হজযাত্রী নিবন্ধনের শেষ সময় ৬ ফেব্রুয়ারি। পরদিন হজযাত্রীর সংখ্যা সৌদি সরকারকে জানিয়ে বাকি কোটা ফিরিয়ে দেয়া হবে।

বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রীর কোটা রয়েছে। নিবন্ধন করেছেন ৭৯ হাজাব্যবস্থাপনায়র ৮৬২ জন। তাদের মধ্যে সরকারি ৪ হাজার ১৬৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৫ হাজার ৬৯৭ জন।

প্রাক্‌-নিবন্ধন করা ব্যক্তিদের ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাংকে বাকি টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর, যা গত ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রথমে সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে আরও কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশের জন্য হজযাত্রী কোটা ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন (২০২২ সালে করোনার কারণে ছিল ৬০ হাজার)। মাঝে দুই বছর নিবন্ধন বন্ধ ছিল। ২০১৭ ও ২০২২ সালে কোটা পূরণ হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে যান ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন। ২০১৯ সালে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩। আর গত বছর গেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন। ওই বছরও নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল কয়েক দফা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.