জলদস্যুর কবলে পড়া জাহাজটি অনুসরণ করছে ইইউ’র নৌ পুলিশ

ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশী নাবিক নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন ইইউর সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনী।
স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় বাহিনীটি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি জাহাজ। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে ইইউর সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনী। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল।খবর এপি।

জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন। গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেড এ জাহাজ পরিচালনা করছিল। জাহাজে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশী নাবিক বর্তমানে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। মঙ্গলবার বাংলাদেশী জাহাজের জিম্মি হওয়ার খবর প্রথম জানায় যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী। তারা জানায়, জিম্মি হওয়ার সময় এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর উপকূল থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বা প্রায় ৭০০ মাইল পূর্বে অবস্থান করছিল।

গণমাধ্যমটি জানায়, ওই অঞ্চলে জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য রুখতে ও চলাচলকারী জাহাজগুলোর নিরাপত্তায় ইইউ ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে অভিযান পরিচালনা করে। গতকাল ইইউর সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ অভিযানের আওতায় জিম্মি হওয়া বাংলাদেশী বাণিজ্য জাহাজটিকে অনুসরণ করতে একটি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। জাহাজে থাকা নাবিকরা নিরাপদে আছেন। জলদস্যুরা জাহাজটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।

মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতো থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়ায় যাওয়ার পথে সোমালিয়ার ২০ জন সশস্ত্র জলদস্যু বাংলাদেশী জাহাজটি জিম্মি করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি।

এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল কবির গ্রুপের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজটিতে ২৫ জন নাবিক-ক্রু ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী ছিলেন। অপহরণের ১০০ দিন পর, ২০১১ সালের ১৩ মার্চ ভোরে জলদস্যুরা পণবন্দীদের মুক্তি দেয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.