প্রবাসীদের বেশি ছাড়ে বিমানের টিকিট দেওয়ার কথা বলে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা দেশে আসতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় কথা বলে প্রবাসীদের কাছে ভুয়া টিকিট আসছিল।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।
ডিবি বলছে, চক্রটি প্রথমে ফেসবুকে তাদের অফারের কথা প্রচার করত। পরে কেউ টিকিট কিনতে চাইলে সেই টাকা তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিত, এরপর মোবাইল বন্ধ করে রাখত। প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারতেন না। ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল চক্রটি। গত কয়েক বছরে চক্রটি শত শত প্রবাসীর কাছে এমন ভুয়া টিকিট বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
,গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, লিটন মিয়া (৩৭), মো. বেল্লাল হোসেন (৪৭) ও মো. রিয়াজ শেখ (৩৫।
ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিন্টু নামে এক কাতার প্রবাসী লিটন মিয়ার কথায় বিশ্বাস করে টিকিট কাটেন। কিন্তু পরে বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তার টিকিটটি ভুয়া। এরপর তিনি আরেকটি টিকিট কেটে দেশে আসেন।
লিটনের দেওয়া একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মিন্টু সেই টিকিটের টাকা পরিশোধ করেছিলেন। সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুসন্ধান করে ডিবি জানতে পেরেছে সেটি লিটনের নয়, তার এক আত্মীয়ের নামে খোলা। লিটন চক্রের মাধ্যমে যারা প্রতারিত হয়েছেন তারা বেশিরভাগই প্রবাসী শ্রমিক। তারা টিকিট কাটা হলেই মোবাইল বন্ধ করে রাখত। ফলে তাদের
ডিবির এই কর্মবর্তা বলেন, তারা বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ওপর প্যাকেজ দেয়। দেখবেন যে টাকা যেতেই লাগে সেটি তারা কয়েক রাত থাকা-খাওয়ার অফার দিয়ে বসে আছে। মূলত এসব প্রতারণা। এমন অফারের লোভে অনেকে দেখা যায় প্রতারিত হচ্ছে। শেষশেষ সেই টিকিট বুকিংকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তারা খুঁজে পান না। প্রবাসী ভাইদের অনুরোধ করব, তারা যেন ১৫-২০ শতাংশ ছাড় দেখলেই টিকিট না কাটেন। অন্তত টিকিট কাটার আগে যেন সেটির অফিসটা খুঁজে বের করে তারপর টিকিট কাটে।