ঢাকা: অবশেষে ৮৫ ঘন্টা পর নেপালের কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সচল হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি যাত্রীসহ বিভিন্ন দেশের সহস্রাধিক যাত্রী কাঠমাণ্ডুতে আটকা পড়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
অবশ্য বিমানবন্দর সচল হওয়ার পরপরই ঢাকা এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কাঠমাণ্ডু রুটে চলাচলকারী একমাত্র বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স বিমান বাংলাদেশ আটকে পড়া যাত্রীদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনতে প্রতিদিন একাধিক ফ্লাইট চালু করেছে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে বিমান সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করে । আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে রোববার দুটি এয়ারবাস কাঠমাণ্ডু যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৯টায় একটি এয়ারবাস ৩১০ কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দুপুর একটায় আরেকটি এয়ারবাস ছেড়ে যাবে নেপালের উদ্দেশ্যে।
গত বুধবার (৪ মার্চ) টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস ৩৩০ উড়োজাহাজ ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিঁটকে পড়ে। উড়োজাহাজটির পাখা ও লেজ রানওয়ের অর্ধেক বাইরে চলে যায়। এ কারণে বুধবার থেকে কোনো আন্তর্জাতিক রুটের কোনো ফ্লাইট কাঠমান্ডু ছেড়ে যেতে ও অবতরণ করতে পারেনি।
শনিবার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এয়ারবাস ৩৩০ সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। এরপর রাতে বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়।
বলা হচ্ছে, টার্কিশ এয়ারের উড়োজাহাজটি যেভাবে রানওয়ের পাশে পড়েছে। এতে রানওয়ের দৈর্ঘ্যরে মাত্র ৫ হাজার ফিট ব্যবহার উপযোগী রয়েছে। এই স্বল্প দৈর্ঘ্যে আন্তর্জাতিক কোনো ফ্লাইট অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন সম্ভব নয়। দূর্ঘটনার পর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ করা হয়।
তবে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এত বড় উড়োজাহাজ সরানোর মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় যাত্রীদের প্রায় চার দিন এই দুর্ভোগে পড়তে হয়।