সৌদি আরবে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপান হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস চত্বরে (২৬ মার্চ) সকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এরপর দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

এ ছাড়া স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল।

রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তান অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও চাকরিসহ সব ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হয়েছে, নিপীড়িত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এই বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে বরাবরই রুখে দাঁড়িয়েছেন। ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭০ সালের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ মুক্তিকামী লাখো জনতার সামনে তিনি বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। তাই প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী ও সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন। তার এই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করার রূপকল্প গ্রহণ করেছেন এবং তা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এ সময় তিনি সবাইকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে স্বাধীনতা দিবসে প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে ও ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে প্রবাসীদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, এম আর মাহবুব, মো. মনিরুল ইসলাম ও হাফিজুল ইসলাম পলাশ আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, বঙ্গব্ন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্য ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.