গাজার একটি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিবিসির একজন ফ্রিল্যান্সারসহ সাত সাংবাদিক আহত হয়েছেন। হামলায় ইসলামিক জিহাদ (আইজে) গোষ্ঠীর চার সদস্য নিহত হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালের মাঠে একটি আইজে কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে।
আইজে হাসপাতালকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার ইসরায়েলি অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস এবং চিকিৎসা কর্মীরা। হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আল-আকসা কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকায় কাজ করা শেষ হাসপাতাল।
হাসপাতালের মাঠে অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া শতশত মানুষের মধ্যে সাংবাদিকরা রয়েছেন।
হাসপাতালের ভেতরে ক্যাম্প করা সাংবাদিকদের বেশিরভাগই উত্তর গাজার বাসিন্দা। তারা সামান্য খাদ্য, পানি বা বিদ্যুত নিয়ে ইসরায়েলি হামলার হুমকির মধ্যে অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিস্ফোরণের সবচেয়ে কাছের তাঁবুটি তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর।
“তারা কোনো সতর্কতা ছাড়াই তাঁবুতে আঘাত করেছিল, আমরা সাংবাদিকদের একটি দল হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁবুতে ছিলাম, আমাদের মধ্যে কোনো সন্ত্রাসী ছিল না,” আলী হামাদ নামের একজন ফটোগ্রাফার রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন।
“আমরা আমাদের ক্যামেরা প্রস্তুত করছিলাম এবং হঠাৎ তাঁবুটিতে আঘাত হানে, ধ্বংসাবশেষ এবং পাথর আমাদের মাথার ওপরে উড়ে যাওয়ার সঙ্গে সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায় এবং সেখানে আগুন লেগে যায়।”
সাইদ জারাস নামে একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার বলেছেন, “আমরা নিরস্ত্র সাংবাদিক এবং আমাদের কিছু করার নেই।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বলেছেন, বিমান হামলায় চারজন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন।
ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমরা আবারও রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং মানবিক মিশনের সুরক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি। চলমান হামলা এবং হাসপাতালের সামরিকীকরণ বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।”
সূত্র: বিবিসির