বিমানবন্দরে ঢুকে পড়া বাসের ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স ছিল না: র‍্যাব

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীকে চাপা দিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক রাইদা পরিবহনের কোনো ফিটনেস ছিল না পাশাপাশি চালকের ছিল না ড্রাইভিং লাইসেন্স।

গতকাল শনিবার ভোরে ঘাতক বাস ড্রাইভার হাসান মাহমুদ হিমেল (২৫) কে র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে বরিশালের হিজলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাসুদ হায়দার।

মাসুদ হায়দার বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক হাসান মাহমুদ ও তার হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সংবাদ পাওয়া মাত্রই র‍্যাব-১ এর চৌকসদল ঘটনার ছায়া তদন্তে নামে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে একই এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে।

মেজর মাসুদ বলেন, যাত্রীবাহী বাস চালানোর জন্য তার লাইসেন্স ছিলো না। এমনকি গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত কাগজ ছিলো না। চালকের সহকারী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ শেষে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ দিকে নিহত প্রকৌশলীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় চালক হাসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসে নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.