রাফার হাসপাতালে ইসরাইলি বিমান হামলা, ১৮ শিশুসহ নিহত ২২

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরে রাতভর ইসরাইলি বিমান হামলায় ১৮ শিশুসহ ২২ জন নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা হামলায় হতাহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। পর পর দুটি বিমান হামলায় ১৮ জন শিশুসহ ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একই পরিবারের ১৩ শিশুসহ দুই নারী নিহত হয়েছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় এক গর্ভবতী নারীও আহত হন। পরে ওই নারীকে বাঁচাতে না পারলেও তার গর্ভের নবজাতককে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে চিকিৎসকরা।

প্রায় প্রতিদিনই রাফাহ শহরে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। যেখানে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ যুদ্ধ থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই অঞ্চলে হামাসের নেতারা আছেন। এছাড়া বাকি ১৩৩ ইসরাইলি বন্দিও রয়েছেন।

এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমরা হামাসের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়াব, কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা ও বিজয় অর্জনের এটাই একমাত্র পথ। খুব শিগ্রই আমরা হামাসের ওপর আরও ও বেদনাদায়ক আঘাত করব।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, শনিবার (২০ এপ্রিল) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩৪ হাজার ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ হামলা ৭৭৬ হাজার ৮৩৩ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এতে গাজার দুটি বড় শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। অঞ্চলটির প্রায় ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে পালিয়ে গেছে।

 

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা আশ্চর্যজনকভাবে ইসরাইলে হামলা চালায়। এতে অন্তত এক হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়। এছাড়া ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। তবে এই হামলায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরাই নিহত হচ্ছেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.