সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিক এমভি আবদুল্লাহ ছেড়েছেন। তাদের মুখে ছিল হাসি, চেহারায় উৎফুল্ল ভাব। হাত নেড়ে তারা দুঃসহ স্মৃতিবিজড়িত জাহাজটির নতুন দায়িত্ব নেয়া টিমকে বিদায় জানান।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তারা কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে অবস্থানরত এমভি আবদুল্লাহ থেকে, ‘এমভি জাহান মনি ৩’ নামের লাইটার জাহাজে উঠেন তারা। পরবর্তী গন্তব্য চট্টগ্রাম বন্দরের ‘এনসিটি ১’ জেটি।
সেখানে বিকেল ৪টায় বীরোচিত সংবর্ধনা দেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিকপক্ষের একজন কর্মকর্তা।
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, ২৮ এপ্রিল দুবাই থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা জাহাজটি কুতুবদিয়া চ্যানেলে আছে। বিকল্প একটি টিম দেয়া হয়েছে সেই জাহাজে। আর জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে নামবে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায়। দুপুর ১২টার দিকে তারা রওনা হয়েছেন। এনসিটি জেটিতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপর নাবিকরা যার যার ঘরে চলে যাবে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, এমভি আবদুল্লাহ সোমবার কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। জিম্মি হওয়ার ৬৩ দিন পর নাবিকরা আজ স্বজনদের দেখা পাবে।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছে। কুতুবদিয়া চ্যানেলে লাইটারেজ জাহাজ লাগিয়ে সেগুলোর কিছু অংশ খালাস করা হবে। বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এনে খালাস করবে জাহাজটি।
১৩ এপ্রিল ভোর ৩টায় সোমালিয়ান দস্যুদের কাছ থেকে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ। ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ার উত্তরপূর্ব উপকূলের গ্যরাকাদে নোঙ্গর করেছিল। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে নাবিকসহ ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।