ভারতের লোকসভা নির্বচনের মধ্যে মুসলিমবিরোধী এক বক্তব্য নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই বক্তব্যে মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘তাদের অধিক সন্তান’ থাকে বলতে শুধু মুসলমানদের কথা বলেননি তিনি, প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের কথাই বলেছেন বলে দাবি করেছেন। খবর এনডিটিভির।
সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটটিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছেন, আমি হতবাক। আপনাকে কে বলেছে যে যখনই কেউ বেশি বাচ্চা নিয়ে কথা বলে, তখনই ধরে নেয়া হয় তারা মুসলমান? কেন আপনারা মুসলমানদের প্রতি এত অবিচার করছেন? দরিদ্র পরিবারেরও এই অবস্থা। যেখানে দারিদ্র আছে, সেখানে বেশি শিশু থাকে। তারা যে সামাজিক বৃত্তেই থাকুক না কেন। আমি হিন্দু বা মুসলমান কারও কথা বলেনি।
তিনি আরও বলেন, মুসলিমপ্রীতি নিয়ে আমি ব্যবসা করি না। আমি ভোট ব্যাংকের জন্য কাজ করি না। আমি সবার শক্তিতে বিশ্বাস করি, সবার উন্নয়নে বিশ্বাস করি।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় একটি নির্বাচনী জনসভায় মোদি বলেছিলেন, এই শহুরে নকশালপন্থীরা আপনাদের মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত ছাড়বে না। তারা এতটা চরম পর্যায়ে যেতে পারে। কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে মা-বোনদের সোনা-দানার হিসাবের কথা বলা হয়েছে। তারা প্রথমে এসব সম্পর্কে তথ্য নেবে এবং তারপর এসব সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে দিয়ে দেবে। আর মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেছিল দেশের সম্পদের ওপর মুসলমানদের অধিকার সবার আগে।
তিনি বলেন, যখন কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা বলেছিল যে দেশের সম্পদের ওপর মুসলমানদের অধিকার সবার আগে। তাহল এই সম্পত্তি কাদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হবে? যাদের অনেক বেশি সন্তান তাদের দেওয়া হবে। অনুপ্রবেশকারীদের সম্পদ দিয়ে দেওয়া কি উচিত?
মোদির এই বক্তব্য ঘিরে ভারতের লোকসভা নির্বচনের মধ্যেই ভারতীয় রাজনীতিতে বড় ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি হয়। দেশের ‘বাস্তব সমস্যা’ থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর অংশ হিসেবে মোদি এই বক্তব্য দেন বলেও অভিযোগ করেন বিরোধীরা।