‘ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ কথাটি বাদ দেওয়া দুঃখজনক’

বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ছাড়া’ (অ্যাকসেপ্ট ইসরায়েল) শব্দটি মুছে ফেলা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিরসনে করণীয় বিষয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’।

ড. মোমেন বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের ও তাদের মিত্রদের অনেক পণ্য আমাদের দেশে বিক্রি হচ্ছে। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা না করেই এ (ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ বাদ দেওয়া) পরিবর্তন করেছে। পাসপোর্টকে আরও মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করেছে বলে আমাকে অবহিত করা হয়।’

‘জাতিসংঘের নিজস্ব শক্তি বলতে কিছু নেই’ উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচটি মোড়ল রাষ্ট্রের ওপর তারা নির্ভরশীল। ১৫ হাজার শিশুসহ ৩৬ হাজার মানুষকে হত্যার পরও মানবতার ফেরিওয়ালারা ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা রাখেনি। পশ্চিমাদের বাদ দিয়ে আরববিশ্ব এক হলেও ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘মুসলিমবিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রনায়ক জনতার রায়ে নির্বাচিত নয়। তাই আরববিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো  ভূমিকা রাখতে পারছে না। তবে বাংলাদেশের সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওআইসি ও আরব লিগ একাধিকবার বৈঠকে বসলেও তারা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটে এক হতে পারেনি।’

‘মুসলিমবিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.