প্রথমবারের মতো বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিং খান শাকিব। শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্র ‘এই তো প্রেম’ এবং শাহরুখ খান অভিনীত বলিউড চলচ্চিত্র ‘ডন-২’। এর আগে ঢাকার দু’টি প্রেক্ষাগৃহে ‘ডন-২’ মুক্তি পেলেও এবার সারা দেশের ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। অন্যদিকে শাকিব-বিন্দু অভিনীত ‘এই তো প্রেম’ মুক্তি পাচ্ছে ৬০টি প্রেক্ষাগৃহে।
বলিউড চলচ্চিত্র ‘ডন-২’-এর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইনউইন এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দীন নওশাদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘গেল সপ্তাহে বাপ্পারাজ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কার্তুজ’ মুক্তি পেয়েছে। তাই তাকে সম্মান জানিয়ে আমরা মাত্র দুটো হলে ‘ডন-২’ মুক্তি দিয়েছি। এই সপ্তাহে শাকিব অভিনীত ‘এই তো প্রেম’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। তাই সারা দেশের মাত্র ১৫টি সিনেমা হলে ‘ডন-২’ মুক্তি দিচ্ছি। আমরা চাই, দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি হোক।’
এদিকে ‘এই তো প্রেম’-এর মধ্যদিয়ে বড় পর্দায় দেখা যাবে টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিন্দুকে। প্রায় দুই বছর হল ঘোষণা দিয়ে মিডিয়া থেকে দূরে সরে আছেন আলোচিত এই অভিনেত্রী। জানা গেছে, ২০১০ সালে ‘এই তো প্রেম’ চলচ্চিত্রের শুটিং করেছেন বিন্দু। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন সোহেল আরমান।
অন্যদিকে ‘ডন-২’ চলচ্চিত্রে শাহরুখ খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন প্রিয়াংকা চোপড়া, লারা দত্ত, কুনাল কাপুর, ওমপুরি, বোমান ইরানি প্রমুখ। ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভারতে মুক্তি পায় ‘ডন টু’। ১৪৪ মিনিটের এই ছবিটির নির্মাণে ব্যয় হয় ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর শুধু ভারতেই ছবিটি আয় করে ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশে ভারতীয় তথা উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র মুক্তি নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে। কেউ কেউ মনে করেন বলিউড চলচ্চিত্র বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব বিস্তার করলে দেশীয় চলচ্চিত্র হুমকির মধ্যে পড়বে। এই ইস্যুতে গত ১৯ জানুয়ারি দেশীয় চলচ্চিত্রের ১৯টি সংগঠনের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোট’ আন্দোলনে নেমেছিল।
শাকিব খানসহ অনেক চলচ্চিত্র তারকা এই আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির ব্যানারে ২৩ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছিল যারা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের সিনেমা চালাবে না হল মালিকরা। এরপর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে ২৬ জানুয়ারি এক বৈঠক হয় আন্দোলনকারী ও প্রদর্শক সমিতির নেতাদের। বৈঠকের পর দিন ২৭ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।