আগামী ১৯ থেকে ২১ অক্টোবর রাজধানীর ইন্টার ন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’। এটা বাংলাদেশে চতুর্থ বারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে। মূলত এখানেই দেখানো হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ তার উড্ডয়নে কি কি করেছে। মূলত এটি হবে একটি মিলন মেলা। যেখানে ব্যাবসায়ীর সঙ্গে শিক্ষক-গবেষকরাও অংশ নেবেন। বেশ কিছু সেমিনার হবে। যেখানে প্রত্যেকে তার জ্ঞান শেয়ার করতে পারবেন। এছাড়া সাধারণ মানুষও প্রযুক্তি সম্পর্কে নানান কিছু জানতে পারবেন। আজ রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ের তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ উপলক্ষ্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেওয়ার পর ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এখন ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন। আর সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এখন সেবাকে জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তত্ত্বাবধায়ন করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রথমে মানুষের মনযোগাতে হয়েছে। মানুষ এখন বুঝতে পারছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণ। তাই মানুষের মন যোগানোর পর্ব শেষ। এখন এটি টেক অফ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন উড্ডয়মান।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ ৩৫ বছর বয়সের নিচে। এই জনগোষ্ঠীতে আমরা আইসিটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলবো। কেননা, আইসিটি হচ্ছে এমন একটা প্রযুক্তি যা মানুষকে চলমান ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করে। এখানে আইসিটিতে দক্ষ প্রতিটি মানুষই উদ্যোক্তা হতে পারে। তাই এর সম্ভাবনা অনেক। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নে সরকারের কাছে জনগণের প্রবেশগম্যতাও নিশ্চিত হবে। সরকার হবে জবাবদিহিতামূলক। আর জনগণ ঘরে বসেই পাবেন সেবা।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইন আহমেদ পলক, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এমএস আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন।