দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রশংসা করেছেন বলে মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন এ এইচ মাহমুদ আলী।
গত ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি সফর সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সোমবার প্রতিবেদন দাখিল করে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন জন কেরির সঙ্গে আলোচনার সময় দেশে যে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছিল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় এটা অনেকটা স্থিমিত হয়ে এসেছে। জন কেরি এর প্রশংসা করে বলেছেন, সন্ত্রাস মোকাবেলায় আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে কার্যক্রম ও দায়িত্ব পালন করছে তা প্রশংসনীয়।’
‘যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের ব্যাপারে সবসময় উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাস মোকাবেলায় যেকোনো কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্র তার সহযোগিতা সমর্থন দিয়ে যাবে বলে জন কেরি উল্লেখ করেছেন।’
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কেরি উদ্বেগ জানিয়েছেন কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছু নেই।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত হয়েছেন যে, গণতন্ত্রে সন্ত্রাস বা চরমপন্থার কোনো সুযোগ নেই। জন কেরিও বলেছেন, ‘আমেরিকা কখনো রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে সম্পর্ক তা ক্রমেই সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী হচ্ছে।’ আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন জন কেরি।
প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মোশাররাফ হোসাইন আরও বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরেকটি বিষয়ে জন কেরির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তাকে প্রত্যার্পণের দাবি জানিয়েছেন আবারও। জন কেরি বলেছেন, এ ব্যাপারে সম্ভাব্য সহযোগিতা দেবে তার সরকার।’
কেরি বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজেই চাচ্ছেন আমি (কেরি) যেন বাংলাদেশে যাই’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।