কল চার্জ ও কাস্টমার কেয়ারের সেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা

btrc-public-hearingমোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার মান নিয়ে ভোক্তা সাধারণের মতামত জানতে আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মত গণশুনানির আয়োজন করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এই গণশুনানিতে টেলিকম অপারেটরের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের (কাস্টমার কেয়ার) সেবা, কল চার্জ ও ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোবাইল ফোন গ্রাহকরা।

গণশুনানিতে মোবাইল ফোনের কলড্রপ ও বিভিন্ন প্যাকেজ (ভয়েস, ডাটা, বান্ডল) এবং এর মূল্য সম্পর্কে অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন, সাইবার অপরাধ, মোবাইল ফোনে হুমকি, ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের প্রদত্ত সেবার বিষয়ে গ্রাহকের অভিযোগ ও এ সম্পর্কিত বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করা হয়।

অভিযোগ ও মতামত গ্রহণ শেষে বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এ সময় বিটিআরসির স্প্রেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের মহাপরিচালক কর্ণেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ফলে অপরাধের সংখ্যা ভীষণভাবে কমে গেছে। বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন নিয়ে ইতোমধ্যে ১০টি মামলার মাধ্যমে ৬ হাজার ৫০০ সিমসহ ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। পাশপাশি আমরা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি, যদি এর সঙ্গে কোন টেলিকম অপারেটর জড়িত থাকে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ছাড়াও নিবন্ধনবিহীন যেসব সিম বিক্রি হচ্ছে সেসব তথ্য আপনারা আমাদেরকে জানাতে পারেন। অথবা আপনার নিকটতস্থ থানায় কিংবা র‍্যাব অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তখন আমরা অভিযান পরিচালনা করব এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আজকের এই গণশুনানিতে আপনাদের অভিযোগের পাশাপাশি অনেক মতামত পেয়েছি। এগুলো আমরা টেলিকম অপারেটরদের চিঠি দিয়ে জানাব। আশা করছি আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই সমস্যার পরিমাণ অনেক কমে যাবে। আগামী ছয়মাস পরে আবারও গণশুনানি হবে। তখন অনেক সমস্যার সমাধান পাবেন।

তিনি আরও বলেন, গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে শক্তিশালী করা হচ্ছে বিটিআরসিকে। অপারেটরদের সেবার মান ঠিকমতো নজরদারি করতে খুব শিগগির লোকবল বাড়ানোসহ নতুন যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হচ্ছে। যা দিয়ে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস’ নিয়ে একটি পৃথক ল্যাব তৈরি করা হবে।

এ ছাড়াও এই গণশুনানি ঢাকা কেন্দ্রিক না হয়ে এটিকে বিভিন্ন বিভাগ কেন্দ্রিক করার আশাও প্রকাশ করেন তিনি।

সাধারণ ভোক্তা ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার জহিরুল হক, সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এমদাদ উল বারিসহ সংশ্লিষ্ট খাতের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.