ওমানে জনশক্তি রফতানিতে ব্যয় কমাতে একমত পোষণ করেছেন ওমান ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া তৈরি পোশাক, এলপিজি টার্মিনাল, চামড়া এবং পাট ও পাটজাত শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ওমান। অন্যদিকে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ওমানের ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ওমানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। বুধবার এফবিসিসিআই’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানায় বাংলাদেশ সফররত ওমানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। ৩ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির মন্ত্রী পদমর্যাদার ওমান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ওসিসিআই) সভাপতি সাইদ সালেহ সাইদ আল কাইয়ুমী। এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক মাহবুব ইসলাম রুনু দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ওমানে ‘বাংলাদেশ মল’ স্থাপনের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ কৃষি খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অন্যদিকে চাহিদা মেটাতে ওমান খাদ্যপণ্য আমদানি করে। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে বাংলাদেশ ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে ১ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেয়া হলে ওমানের খাদ্যপণ্য আমদানিতে ব্যয় সাশ্রয় হবে। এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান। ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে দিতে বর্তমান সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওসিসিআই সভাপতি সাইদ সালেহ সাইদ আল কাইয়ুমী বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। এ দেশের সঙ্গে ওমানের অনেক মিল রয়েছে। বিনিয়োগ করতে পরে উচ্চ পর্যায়ের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধ দল নিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণের আশ্বাস দেন তিনি।
তার আগে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ-ওমান চেম্বার গঠনের পরামর্শও দেন। বৈঠকে ওমানে জনশক্তি রফতানিতে অতিরিক্ত খরচের বিষয়টি উঠে আসে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বিনামূল্যে বিমান টিকিট দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এ ব্যাপারে ওসিসিআই সভাপতি বলেন, ওমানে কর্মরত অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের চেয়ে বাংলাদেশের শ্রমিকরা সক্রিয়। কিন্তু উভয় দেশের কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে নিরীহ শ্রমিকদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ওমানে যেতে হচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হলে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এ ইস্যুতে একসঙ্গে আলোচনায় বসলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব।