যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘অন-ডিমান্ড’ পরিবহন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উবার সরকারের নিয়মনীতি মেনে বাংলাদেশে তাদের সেবা চালু রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার রাজধানীর বনানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘সড়ক নিরাপত্তা ক্যাম্পেইনে’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, উবার নিষিদ্ধ করা বিআরটিএ বা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। তবে উবার বা এ ধরনের যে কোনো সার্ভিস সহায়ক অ্যাপ ব্যবহার করে সহজে ট্যাক্সি ক্যাব ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যাতে দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুসৃত হয় তা দেখা সরকারের দায়িত্ব। যারা উবার নিয়ে এসেছে, তারা সরকারের কাছে এটি পরিচালনায় অনুমতি নেয়নি। একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে এটিকে জনগণের সেবায় আনতে হবে।
শুক্রবার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উবারের সেবাকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলো বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিআরটিএ তথা সরকারের অনুমোদন ব্যতিত কোনো ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস পরিচালনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি, অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই অনুমতি না থাকায় উবারের এ ধরনের পরিবহন সেবা অবৈধ। আর উবারের মাধ্যমে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করলে চালক ও গাড়ির মালিক-দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘উবার একটি ইতিবাচক বিষয়। যেটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই। কিন্তু তারা অনুমতি না নেওয়ায়, লিগ্যাল না হওয়ার কারণে তাদেরকে বিআরটিএ’র আইন মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবহন খাতকে আরও এগিয়ে নিতে এবং আধুনিকায়ন করতে উবার এর এই সিস্টেমকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পুরনায় চালু করা হবে।’
তবে কবে থেকে এই সেবা পুনরায় চালু হবে সেই বিষয়ে কিছু জানাননি ওবায়দুল কাদের।
প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বে এখন প্রতিদিন গড়ে ৫০ লাখেরও বেশিবার উবার ব্যবহৃত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ঢাকা হচ্ছে ৩৩তম শহর যেখানে উবার সেবা চালু হলো। বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান ছিলেন ঢাকায় উবার ট্যাক্সি সেবার প্রথম যাত্রী। অন্য পেশায় থেকেও সুবিধাজনক সময়ে ভাড়ায় গাড়ি চালিয়ে বাড়তি রোজগারের সুযোগ তৈরি হওয়ায় এবং যাত্রীদের জন্য সেবা পাওয়া সহজ হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উবার। আবার যাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ২০১৪ সালে দিল্লিতে উবার নিষিদ্ধও করা হয়েছিল। এছাড়া উবার বিভিন্ন শহরে চালু হবার পর প্রতিষ্ঠিত ক্যাব কোম্পানিগুলোর বাধা, মামলা ও বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছে।