২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম না মানায় তিনটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
যে তিন মেডিক্যাল কলেজকে জরিমানা করা হয়েছে সেগুলো হলো- ময়নামতি মেডিক্যাল কলেজ, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং সাউদার্ন মেডিক্যাল কলেজ।
জরিমানার টাকা দুই সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। জরিমানার অর্ধেক টাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এবং বাকি টাকা কিডনি ফাউন্ডেশন ও ক্যানসার ইনস্টিটিউটকে দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ না নিতেও ওই তিন মেডিক্যাল কলেজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
টাকা পাওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে টাকা এফডিআর করতে বলা হয়েছে। এই এফডিআর থেকে পাওয়া লভ্যাংশ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি হিসেবে বণ্টন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, ব্যারিস্টার গোলাম সরওয়ার পায়েল, অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী ও অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার চৌধুরী।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শর্ত ছিল, ২০০ নম্বরের মধ্যে ১২০ নম্বর পাওয়া ছাত্র/ছাত্রীদের ভর্তি করা যাবে। এই ১২০ নম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পেতে হবে। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের এ শর্ত পূরণ না হওয়ার পরও শিক্ষার্থী ভর্তি করে ওই তিন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। এরপর তাদের মধ্যে ৩০ শিক্ষার্থীর প্রথম পর্বের (ফার্স্ট প্রফেশনাল এক্সামিনেশন) রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র আটকে দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ওই রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুলসহ অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট রিট আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে বলে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিভ টু আপিল করে।