মিয়ানমারে গণহত্যার প্রতিবাদে নিউ ইয়র্কে পথসভা

miyanmar-us20161129110818মিয়ানমারে গণহত্যার প্রতিবাদে নিউ ইয়র্কের বাঙালি পাড়া খ্যাত জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজার সামনে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ ও বিতাড়নের প্রতিবাদে রোববার নর্থবেঙ্গল ফউন্ডেশন ইউএসএ ইনক এই পথসভার আয়োজন করে।

প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ সোসাইটিসহ অর্ধ ডজন সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে। এছাড়া নর্থবেঙ্গলের ১৬ জেলার প্রায় ২০টি সংগঠন সরাসরি অংশ নেয়। কমিউনিটির প্রায় ৩০ জন অ্যাক্টিভিস্ট প্রতিবাদী বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠন সভাপতি আতোয়ারুল আলম। সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম. আবুল কাশেম। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে সমাপণী বক্তব্য রাখেন কবি-কথাকার-সাংবাদিক সালেম সুলেরী।

সভায় বিশেষ আলোচক ছিলেন নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন আহমদ। মিয়ানমারে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি কঠোর আচরণের প্রামাণ্য চিত্র তুলে ধরেন তিনি। বলেন, আরাকানে ১০ লাখ এবং মিয়ানমারের অন্যত্র পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছে। মিয়ানমারের মতো পৃথিবীর কোথায়ও আজ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা এভাবে নিগৃহিত হচ্ছে না। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত সরকার প্রধান এই ন্যাককারজনক কর্মটি ঘটাচ্ছেন। তাই বিশ্ববাসীর দ্রুত শান্তি-পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

প্রতিবাদ সভার সভাপতি আতোয়ারুল আলম বলেন, মিয়ানমারের পণ্য বর্জন করতে হবে। ঘেরাও করতে হবে তাদের দূতাবাস। অবস্থার পরিবর্তন না হলে আমরা আরো কঠোর হবো। সভার সঞ্চালক এম এ কাশেম ও অন্যতম সমন্বয়কারী মনিরুল ইসলাম সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সমাপণী বক্তব্যে কবি সালেম সুলেরী বলেন, জাতিসংঘের শহর হিসেবে নিউ ইয়র্ককে আরো জাগতে হবে। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার বিচারও করতে হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মুসলমানরা হিটলার মুসোলিনীর মতো যুক্তিহীন হত্যাকাণ্ড চালায় না।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.