ঢাকা: ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের দমনে শুরু হওয়া উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর অভিযানে অন্তত দেড় লাখ সৌদি সেনা অংশ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিমান হামলার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে অন্তত একশ‘ যুদ্ধ বিমান।
সৌদি আরবের টেলিভিশন চ্যানেল আল-আরাবিয়া বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, সৌদি অভিযানের সাথে সংহতি জানিয়ে আরো পাঁচটি রাষ্ট্র অংশ নেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছে বলে দাবি করেছে রিয়াদ।
মিশর, পাকিস্তান, জর্দান, মরক্কো ও সুদানও অভিযানে অংশ নিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে জর্দান সরকার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে তাদের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আদেল আল-জুবেইর সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইয়েমেন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদির বৈধ সরকার ও তার জনগণকে রক্ষায় তার দেশ সেখানে সেনা অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে বিমান হামলায় সানায় অন্তত ১৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে হুথি রেভ্যুলুশনারি কমিটি। পাশাপাশি সৌদি অভিযানকে ‘আগ্রাসন’ উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) এর বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
অভিযানের ব্যাপারে সৌদি আরবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হুথি বিদ্রোহীদের ঊর্ধ্বতন নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেন, ইয়েমেনে আগ্রাসন চালালে এই অঞ্চলে বিশাল এক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটবে।
এর আগে ইয়েমেন সরকার জাতিসংঘ ও গালফ কাউন্সিলভুক্ত ছয় দেশ- সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হুথিদের দমনে দেশটিতে ‘হস্তক্ষেপ‘ কামনা করে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান সংশ্লিষ্ট শিয়া হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নেয়।