তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনেইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তির যে দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে এটার সঙ্গে যদি খাপ খাওয়াতে না পারি তাহলে আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবো না। তাই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলানো জরুরি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়‘ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মাইটি বাইট এর আয়োজনে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ’ উপলক্ষে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারটির শিরোনাম ছিল ‘স্মার্ট গ্রিড, ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্টারনেট অফ থিংক’।
২০০৯ সালে থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে ৩ কোটি মানুষ স্মার্ট ফোন, ৬ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
আর মোবাইল ব্যবহারকারী ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে পলক বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার অনেকটাই অসম্ভব। বর্তমানে ৭৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। আর স্মার্ট গ্রিড হচ্ছে ইন্টারনেট এবং বিদ্যুতের একটি সমন্বয়।
একটি উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এই মুহূর্ত আমরা যেই সেমিনার রুমে অবস্থান করছি এখানে প্রচুর পরিমাণে বৈদ্যুতিক আলো আছে কিন্তু বাহিরে এখন অনেক সূর্যের আলো আছে আর এই সেমিনার রুমে সূর্যের আলো পৌঁছানোর কারণে বর্তমানে বৈদ্যুতিক আলো ব্যবহার না করলেও চলবে। কিন্তু সকালে যখন আটটার সময় এই লাইটগুলো জ্বালানো হয়েছে তারপর কিন্তু এই লাইটগুলো আর অফ করা হয়নি। কিন্তু এখানে যদি স্মার্ট সেন্সর থাকতো যদি ইন্টারনেট অফ থিং’ থাকতো তাহলে এখানে সূর্যের আলোর পরিমান বাড়লে তখন প্রতিটি বৈদ্যুতিক লাইল স্বংয়ক্রিয়ভাবে অফ হয়ে যাবে এটাই হচ্ছে ইন্টারনেট অফ থিং।
স্ট্রিট লাইট প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ঠিক যেমনটি সন্ধ্যা নেমে এলে বা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে স্ট্রিট লাইট স্বয়ংক্রিয় ভাবে জ্বলে উঠে। তাই এই সেমিনার রুমে যদি আমারা স্মার্ট টেকনোলজি যুক্ত করতাম তাহলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বৈদ্যুতিক আলো বন্ধ হয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হত। সুতরাং ইন্টারনেট অফ থিং এর সঠিক ব্যবহারে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশি বংশম্ভূত কানাডীয় জ্বালানি নীতি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত নামির রহমান।