থাইল্যান্ড উইক ২০১৫ : যেন থাইল্যান্ডেরই ছোট এক বাজার!

Thiland_Fairঢাকা: থাইল্যান্ডের কারিগরদের হাতে তৈরি নানা রঙের আর্টিফিসিয়াল গহনা, ব্যাগ, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক ও স্টিলের সরাঞ্জামাদি, হরেক রকমের ফলমূল ও খাদ্যের সমাহার চোখ জুড়িয়ে দেয়। সঙ্গে রয়েছে থাইল্যান্ডের সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিমিত আয়োজন।

স্টলে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন থাইল্যান্ড থেকে আসা বিভিন্ন দোকানি। ক্রেতাদের সঙ্গে হাস্যরসেও মেতে উঠছেন কেউ কেউ।

সব মিলিয়ে যেনো থাইল্যান্ড শহরেরই কোনো ছোট বাজারে পরিণত হয়েছে বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি। চারদিনব্যাপী ‘থাইল্যান্ড উইক ২০১৫’ চলছে এখানে। শনিবার পর্দা নামবে প্রদর্শনীর।

প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, প্রদর্শিত প্রায় সব পণ্যেই থাইল্যান্ডের কারিগরদের হাতের কারুকাজ ফুটে উঠেছে। ঘর বা বাড়ি সাজানোর জন্যও রয়েছে মাটির তৈরি বিভিন্ন উপকরণ। মেয়েদের রুপচর্চার নানা ধরনের প্রসাধনীর মধ্যও বেশ নতুনত্ব আছে।

প্রদর্শনীতে যেসব স্টল রয়েছে সেগুলোর মধ্য মেয়েদের ব্যবহারের পণ্যের স্টলগুলোতে ভিড় বেশি। এছাড়া শিশু ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের প্রতিও বেশ আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের। তবে নতুন নতুন পণ্যের দিকে বেশি ঝুঁকছেন তারা।

এদিকে এ প্রদর্শনীতে এসে মনের মতো পণ্য পেয়ে ক্রেতারাও সন্তুষ্ট। আর ভালো বিক্রি ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে পরিচয় হতে পেরে বিক্রেতারাও খুশি।

প্রদর্শনী থেকে হ্যান্ড ব্যাগ ও হাতে তৈরি আর্টিফিসিয়াল গহনা কিনে বাড়ি ফিরছিলেন রাজেয়া বেগম। মিরপুর থেকে আসা এই ক্রেতা জানান, এর আগেও থাইল্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করেছেন তিনি। বেশ ভালোই লেগেছে। এ কারণে আজও কয়েকটি পণ্য কিনেছেন। অনেক ভালো ভালো পণ্য রয়েছে এখানে।

আর প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করা বিভিন্ন স্টলের স্বত্ত্বাধিকারিরাও সন্তোষ প্রকাশ করেন আয়োজন নিয়ে। থাই গিফট শপের স্বত্ত্বাধিকারি শাহাবুদ্দিন রাসেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি থাই পণ্য বাজারে বিক্রি করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি। বরং দিনদিন এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েই চলছে।

এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, যেমন আশা করেছিলাম ঠিক তেমনই পেয়েছি। দর্শনার্থী, ক্রেতাদের অনেক ভালো সাড়া পাওয়া গেছে।

দ্যা রয়েল থাই অ্যাম্বেসি এবং থাইল্যান্ড বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন এ প্রদর্শনী আয়োজন করেছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.