মালদ্বীপে একের পর এক বাংলাদেশী সহিংস আক্রমণের শিকার হচ্ছে। গত রোববার থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ছয় জন দুর্বৃত্তদের হামলা শিকার হয়েছে, এতে নিহত হয়েছে দুই জন। এসব ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। এমনকি কোনো ক্লু-ও উদঘাটন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
অথচ এসব ঘটনায় বাংলাদেশিদের কোনো প্রকাশ বিক্ষোভ করতে দিতেও রাজি নয় মালদ্বীপের জোট সরকার।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীতে মালে’তে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রবাসীরা। কিন্তু গতকালেই দেশটির অভিবাস দপ্তর এক সতর্কবার্তায় বলেছে, কোনো বাংলাদেশি ওই বিক্ষোভে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী কোনো নোটিশ ছাড়াই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা জানতে পেরেছেন শ্রমিক ভিসায় আসা বাংলাদেশি কর্মীরা একটি বিক্ষোভ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মালদ্বীপের অভিবাসন আইন অনুযায়ী এ ভিসার অধীনে প্রবাসীরা কোনো বিক্ষোভ করতে পারেন না। এতে আরো বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিক শাস্তি পেলে তিনি তার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও আইন অনুযায়ী কোনো সহযোগিতা পাবেন না।
উল্লেখ্য, মালদ্বীপে দুই বাংলাদেশি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে পৃথক স্থানে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এর মধ্যে একজনের নাম শাহীর মিয়া। তার বাড়ি গাজীপুর জেলায় বলে জানা গেছে।
মালদ্বীপে দৈনিক পত্রিকা ভাগুথু (http://www.vaguthu.mv/en) জানিয়েছে, রাজধানীর মালে হারবার সাইডে লিয়ানু নামে একটি ক্যাফেতে খুন হন শাহীন। কয়েকজন মুখোশধারী লোক গত রোববার ভোরের দিকে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। সোমবার রাতে আলিফ আতোল থড্ডু দ্বীপ থেকে বিলাল নামে আরেক বাংলাদেশির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে দুই বাংলাদেশির ওপর হামলা হয়। এতে একজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মালদ্বীপে কর্মরত ইয়াকুব আলী নামে এক কর্মী আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আল মামুনকে ফোনে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবহিত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, গত চার দিনে ছয় জন বাংলাদেশিকে একই কায়দায় খুন করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
মালদ্বীপে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন।
আরও খবর