বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির নেপথ্যে লুটপাট

biman-bangladesh-fireবাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্রাফটে একের পর এক ত্রুটি, যান্ত্রিক গোলযোগ, ইঞ্জিন ও ল্যান্ডিং গিয়ারে আগুন লাগাসহ নানা দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বছরে হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি ও লুটপাটের কারসাজি। সম্প্রতি মিসর থেকে আনা বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজের একটি ইঞ্জিনও আকাশে বিকল হওয়ার নেপথ্যে প্রায় ১শ কোটি টাকার বেশি লোকসান গুনতে হবে বিমানকে। এর আগে এয়ারবাস-৩১০ এ ডি কে-এর ডি-চেক (হেভিচেক) করাতে গিয়ে বিমানকে ৩১০ কোটি টাকা অতিরিক্ত গচ্চা দিতে হয়েছিল সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি কোম্পানিকে। তারও আগে একটি এয়ারবাসের ইঞ্জিন দুবাই বিমানবন্দরে বিকল হয়ে গেলে সেটি আর দেশে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানেই ওই এয়ারবাসটি স্ক্র্যাপ করে বিক্রি করে দিতে হয়েছিল।

জানা গেছে, এত কিছুর পরও বিমানের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট একই ধরনের ইঞ্জিনের উড়োজাহাজ লিজ নিচ্ছে শুধু লুটপাটের জন্য। বিমানের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, মিসরের ইজিপ্ট এয়ারলাইন্স থেকে আনা দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর ও একই কোম্পানির সিস্টার কনসার্ন স্মার্ট এভিয়েশন থেকে গত সপ্তাহে আনা দুটি টার্বো প্রপ উড়োজাহাজের ইঞ্জিনগুলোও একই ধরনের। নিয়মানুযায়ী কোনো এয়ারলাইন্স থেকে উড়োজাহাজ লিজ কিংবা ক্রয় করা হলে তাদের স্পেয়ার পার্টস ক্রয় ও মেরামতের সুবিধা নিতে হয়। আর এ সুযোগে ওই এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো বিমানের প্রকৌশল শাখার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই লুটপাটের মহোৎসবে মেতে ওঠে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটি, ইঞ্জিন বিকল কিংবা আগুন লাগার অভিযোগ না থাকলে স্পেয়ার পার্টস বিক্রি করার সুযোগ সৃষ্টি হয় না। এ কারণেই মূলত বিভিন্ন ত্রুটিজনিত কারণ দেখিয়ে এসব উড়োজাহাজের জন্য স্পেয়ার পার্টস ক্রয়, মেরামতের নামে বছরে হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায়ই দেখা যাচ্ছে এয়ারক্রাফটে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি তেল ফেলে দিয়ে ওই ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণ করাতে। এ ক্ষেত্রেও কোনো কোনো সময় ১০ লাখ টাকার তেল ফেলে ১০ কোটি টাকার বিল করার অভিযোগ আছে। এসব ক্ষেত্রে প্রকৌশল বিভাগের পাশাপাশি বিমানের পাইলট, কো-পাইলট, ট্রেনিং বিভাগ ও সেফটি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারাও জড়িত থাকেন। শুধু তাই নয় সোনা চোরাচালান, মাদক ও মূল্যবান ওষুধ চোরাচালানিদের কারণেও প্রায়ই বিভিন্ন ফ্লাইটের ত্র“টির কথা উল্লেখ করে মেরামতের নামে উড়োজাহাজ বিমানের হ্যাঙ্গারে নেয়া হয়। সম্প্রতি শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতরও তাদের একটি তদন্তে সোনা চোরাচালানের নেপথ্যে বিমানের প্রকৌশল শাখাকে দায়ী করে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে।

অভিযোগ রয়েছে, আন্তর্জাতিক এই মাফিয়া চক্রের সঙ্গে বিমানের প্রকৌশল, প্ল্যানিং, সেফটি, ফাইন্যান্স আর স্টোর শাখার কতিপয় প্রভাবশালী কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এ চক্রের আবার দেশীয় এজেন্টও রয়েছে। লাখ লাখ টাকা বেতন আবার কখনো কমিশন ভিত্তিতে এরা বিদেশীদের পক্ষে কাজ করছে। এরা কখনো কখনো বিমানের পরিচালক, কখনো ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী হয়। বিমানের প্রতিটি শাখায় এদের রয়েছে অবাধ যাতায়াত।

সংসদীয় কমিটির একটি তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, এই আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের চক্রান্তে ১৯৯০ সালে বাজারমূল্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে একটি ডিসি-১০ উড়োজাহাজ ৬০ মিলিয়ন ডলারে ক্রয় করা হয়। এ ধরনের উড়োজাহাজের সব ধরনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও শুধু কমিশন বাণিজ্যের জন্য ওই উড়োজাহাজটি ক্রয় করা হয়েছিল। এ ছাড়া ৩টি এফ-২৭ উড়োজাহাজ ক্রয় করা হয়েছিল অস্বাভাবিক বাজারমূল্যে। জানা গেছে, এই এয়ারক্রাফটগুলো যত বছর বহরে ছিল গড়ে প্রতিবছরে ১শ কোটি টাকার বেশি লোকসান গুনতে হয়েছিল বিমানকে। এটিপি উড়োজাহাজগুলো কেনার পরপরই নষ্ট হয়ে মাটিতে গ্রাউন্ডেট হয়ে পড়ে। সাবেক একজন বিমানমন্ত্রীর নির্দেশে পরবর্তী সময় ওই উড়োজাহাজগুলো উচ্চমূল্যে মেরামতও করা হয়। কিন্তু মেরামতের পর সেগুলো না চালিয়ে আবার বিক্রি করে দেয়া হয়। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ৬৪টি সমস্যা থাকার পরও একটি এয়ারবাস-৩১০ ক্রয় করে বিমান। ১৯৯৬ ও ৯৪ সালে যে দুটি এয়ারবাস ক্রয় করা হয় সেগুলোও ছিল বিমানের জন্য বিষফোঁড়া।

একইভাবে প্রয়োজন ছাড়া ১৯৯৫ সালে আরও দুটি এয়ারবাস ক্রয় করা হয়। মাটিতে পড়ে থাকতে থাকতে উড়োজাহাজেরভেতর ঘাস গজিয়ে গেছে এমন একটি এফ-২৮ ক্রয় করা হয়েছিল শুধু আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের কারণে। আন্তর্জাতিক মাফিয়া ব্যবসায়ী অটো স্পেয়ার পার্টস ডিলার ফরহাদ বিমান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। কিছুদিন আগে তিনি মারা গেলে এখন তার প্রতিনিধি বিমানে একই ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে। ১৪৫.২৮ ডলার মূল্যের একটি ট্রিম প্যানেল ৭ হাজার ৫০ ডলারে ক্রয় করেছিল বিমান। প্রস্তুতকারক কোম্পানির চেয়ে ৪৮ গুণ বেশি দামে এ পার্টসটি ক্রয় করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক মাফিয়াদের কারণে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি উড়োজাহাজকে এয়ারওয়ার্দিনেস রাখার জন্য প্রতি ৫ বছর পরপর ওভারহেলিং করতে হয়। এ সময় কমপক্ষে ১১শ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। এই ওভারহোলিং কাজ করানোর জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করতে হয়। এতে বিদেশী কোম্পানিগুলো অংশ নেয়। অভিযোগ রয়েছে এসব কোম্পানিগুলো কৌশলে বিমানের অভ্যন্তরে ঢুকে এরপর নানা কৌশলে চুক্তির বাইরে গিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা। মাঝে মাঝে ব্ল্যাকমেইল ও আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করার অভিযোগ এনেও এরা বিমানের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা টাকা। অবশ্য এর সঙ্গে বিমানের নিজস্ব লোক জড়িত রয়েছে। বিনিময়ে তারা কমিশনের ভাগ পাচ্ছে।

জানা গেছে, বিমানের এয়ারবাস (রেজি. এস-২ এডিকে) রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভারহোলিংয়ের জন্য ২০০৮ সালে সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে ২.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে চুক্তি করা হয়। কিন্তু এয়ারবাসটিকে যখন ডি-চেকে পাঠানো হয় তখন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের (সি-চেক) বাইরে আরও অনেক মারাত্মক ত্রুটি পাওয়ার অভিযোগ আনে কোম্পানীটি। এয়ারবাসটির নোজ কাউল ও ফ্যান রিভার্সার মারাত্মক খারাপের কথা বলে বিমানের কাছে দ্বিগুণ টাকা হাতিয়ে নেয়। এর সঙ্গে বিমানের বোর্ড মেম্বার বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিনও জড়িত আছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনায় দুদকে মামলা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এ চক্রটি উড়োজাহাজ মেরামত না করেও একের পর এক চুক্তি করে সংস্থার তহবিল হতে বিভিন্ন সময়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া দিনের পর দিন উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেট করে রেখেও ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ধরনের একটি ঘটনায় বিমানকে অনিয়মিতভাবে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। সংসদীয় কমিটির ৭৮তম বৈঠকে বিধিবহির্ভূতভাবে উড়োজাহাজ রিপেয়ারিং এজেন্সি তালিকাভুক্ত করে কার্যাদেশ প্রদান করায় বিমানের ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়। ওই বৈঠকে ২টি এটিপি উড়োজাহাজ (বহর থেকে বাদ দেয়ার আগে) ৪০ মাস গ্রাউন্ডেট থাকায় বিমানকে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বহর থেকে বাদ দেয়ার আগে একটি ডিসি-১০ চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন নষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকলেও এ নিয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ কোনো টুঁ শব্দ করেনি। মেরামতের নামে একটি এয়ারবাস সিঙ্গাপুরে ৯ মাস পড়ে ছিল।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিমাসে কোনো না কোনো অযুহাতে উড়োজাহাজ নষ্ট দেখানো বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝে মাঝে ভালো জাহাজকেও নষ্ট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়। এছাড়া টুকটাক কাজ করে ভুয়া-বিল ভাউচার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে বর্তমানে হাতেগোনা কয়েকজন প্রকৌশলী ছাড়া কোনো অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রকৌশলী নেই। জুনিয়র টেকনিশিয়ান, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা হাতে-কলমে কাজ করতে করতে এখন এই সেকশনের বড় বড় কর্মকর্তা বনে গেছেন। বেশ কিছুদিন আগে একটি এয়ারবাস নষ্ট হয়। এরপর ওই এয়ারবাসটি মেরামত করার জন্য একচুয়েটর নামে একটি পার্টস কেনার দরপত্র আহ্বান করা হয়। জানা গেছে, ২ হাজার ডলার দামের ওই পার্টসটি কিনতে গিয়ে ৫০ ডলার কমানোর জন্য ওই কর্মকর্তা এয়ারবাসটি ২ মাস হ্যাঙ্গারে বসিয়ে রেখেছিলেন। এতে বিমানকে কয়েক কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। বিমান সূত্র জানায়, প্রতিমাসে গড়ে ৩-৪ বার করে উড্ডয়নের পর আবারও জরুরি অবতরণ করাতে হচ্ছে বিভিন্ন ফ্লাইট।

নিয়ম অনুযায়ী বিমান আকাশে উড্ডয়নের আগে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। ওই শাখার ক্লিয়ারেন্স নিয়ে পাইলট বিমান উড্ডয়ন করান। কিন্তু প্রায়শ দেখা যায় গ্রাউন্ডে থাকা অবস্থায় ইঞ্জিনিয়াররা বিমানের ত্রুটি ধরতে পারেন না। আকাশে উঠার পর ত্রুটি ধরা পড়ে। তখন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে আবারও জরুরি অবতরণ করাতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাইলট জানান, এটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তারা এ ধরনের অদক্ষ জনবল দিয়ে বিমান পরিচালনা না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কারণ এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থাকে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে যে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার নামে যে কোম্পানির বিরুদ্ধে বিমানের একটি এয়ারবাস ওভারহোলিংয়ে ৩শ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিতে হয়েছিল সেই একই কোম্পানিকেই আবার বিমানের দুটি নতুন ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর অরুণ আলো ও পালকির সি চেকের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। তবে কেউ যাতে ধরতে না পারে সে জন্য ওই কোম্পানির নাম দেয়া হয় এসটি এরোস্পেস। অভিযোগ আছে, এসটি এরোস্পেস থেকে সি চেক করে ফেলার পর বিমানের ওই দুটি এয়ারক্রাফটের অবস্থা আরও করুণ হয়ে গেছে।

জানা গেছে এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের আন্ডার হ্যান্ডলিং হয়েছে সিঙ্গাপুরের ওই কোম্পানির সঙ্গে। শুধু তাই নয় বিমানের অধিকাংশ কার্গো পরিবহনের কাজও এখন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সকে দেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ওই এয়ারলাইন্সের স্থানীয় এজেন্টের সঙ্গে আলমগীর নামে বিমানের কার্গো শাখার একজন কর্মকর্তার প্রতি মাসে কোটি টাকার আন্ডার হ্যান্ডলিংয়ের অভিযোগ আছে। জানা গেছে, ওই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন বিমানের কার্গো শাখায় কর্মরত থাকায় তিনি নামে-বেনামে একাধিক কোম্পানি খুলে বসেছেন। এর মধ্যে তার মালিকানাধীন কোম্পানি হরায়জন লজিস্টিকের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সকে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ টন কার্গো পরিবহনের সুযোগ করে দেয়া হয়। যেগুলোর অধিকাংশ মালয়েশিয়া হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। ঘটনাটি বিমানের কার্গো শাখার জেনারেল ম্যানেজারসহ ম্যানেজমেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তা জানলেও আলমগীরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিনিময়ে সবাই আন্ডার হ্যান্ডলিং থেকে উপার্জিত অর্থের ভাগ পাচ্ছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.