যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বিশেষ প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্র : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির  সূচনা হয়। বিকেলে স্থায়ী মিশনে এক অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের উপমহাসচিব জেন এলিয়াসন। তিনি কেক কেটে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় জেন এলিয়াসন বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের মডেল সদস্য। গণতন্ত্রসহ সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অগ্রগতি হচ্ছে।
বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, যুক্তরাষ্ট্র ও নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মহাজোটের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া প্রতিনিধি, বাংলাদেশি কমিউনিটি কমিউনিটি ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যগণ অভ্যর্থনায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসৃত সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় – এই নীতি অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের সক্রিয় সদস্য। সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। গত ছয় বছর অর্থনীতিতে গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা বিস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে বিকালে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কূটনীতিকসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিসা দেশাই বিসওয়াল, ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ঢাকার বেশকয়েকজন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. জিয়াউদ্দিন অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানে সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের শক্তিশালী অংশীদারিত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বড় ও শক্তিশালী এবং তা ক্রমবর্ধমান, যা দুইজন মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের মত।

রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক উভয় দেশই উপভোগ করছে। চার দশক ধরে গড়ে ওঠা এই সম্পর্ক গণতন্ত্র, উন্নয়ন সহযোগিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটেও মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.