মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে দ্রুত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এআরপি) পৌঁছে দিতে জহুর প্রদেশে চলছে ফিঙ্গার প্রিন্ট। দেশটির সীমান্ত প্রদেশ জহুর বারুর টাম্পু লিমা এলাকায় দুই দিনব্যাপী মোবাইল ক্যাম্পের এ কার্যক্রম আজ (রোববার) বিকেলে শেষ হচ্ছে।
শনিবার সকাল ১০টায় দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি এসকে শাহীন ও মশিউর রহমান ফিঙ্গার প্রিন্ট ও পাসপোর্ট বিতরণের উদ্বোধন করেন। এরপর শুরু হয় মোবাইল ক্যাম্পে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আবেদন জমা দেয়া এবং ডিজিটাল পাসপোর্ট বিতরণ। মোবাইল টিমে রয়েছেন হাই কমিশনারের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান মন্ডল, দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখার অফিস সহকারী সুশান্ত সরকার ও আরিফুল ইসলাম।
মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মশিউর রহমান জানান, প্রবাসীদের হাতে সহজে এমআরপি পৌঁছে দিতে মিশনের ঘোষিত ওয়ানস্টপ সার্ভিসের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রদেশে মোবাইল টিমের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ ও নতুন আবেদন নেয়া হচ্ছে, যাতে সাধারণ শ্রমিকদের বেগ পেতে না হয়।
তিনি জানান, আগত প্রবাসীদের একদিনের মধ্যেই জন্মনিবন্ধন জমা নেয়া, ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ ও ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ যেন এমআরপির আওতার বাইরে না থাকেন সে জন্য এ ক্যাম্পিং।
তিনি আরো বলেন, দেশটির সীমান্ত এলাকা জহুর প্রদেশ থেকে একজন শ্রমিককে দূতাবাসে শুধু যেতেই খরচ হতো ৩০০ থেকে ৪০০ রিঙ্গিত। কেবল ১১৬ রিঙ্গিতের বিনিময়ে এমআরপির আবেদন জমা দিতে পারছেন শ্রমিকরা। এছাড়া যারা ব্যর্থ হবেন তাদের জন্য পরবর্তীতে আবার নতুন তারিখ জানিয়ে এমআরপির আবেদন জমা নেয়া হবে।
দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এমএস কে শাহীন জানান, মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা সব প্রবাসীর হাতে এমআরপি পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা অনেক দিনের। দূতাবাসের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে এক লাখ ৪০ হাজার অবৈধ শ্রমিক বৈধতার আওতায় এসেছেন। এক মাসের মধ্যেই গ্রাহকের হাতে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছে দূতাবাস।
দূতাবাসের সব কর্মকর্তার আন্তরিকতা ও মান্যবর হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের নির্দেশনার কারণেই জহুর প্রদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা সহজেই পাসপোর্ট করতে পারছেন বলে জানান সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।