২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে অনেক জেলায় দল সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এতে দলের নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরোধ। আর তা মেটাতে জেলায় জেলায় সফরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- মানিকগঞ্জ, জামালপুর, নরসিংদী ও পাবনা এই চার জেলায় আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় নেতাদের এই বিরোধ নিষ্পত্তির সফর শুরু হবে।
জানা গেছে, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলের সমর্থন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল রহিম লাল। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন খোদ ভূমিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরিফ ডিলুর মেয়ে মেহজাবিন প্রিয়া। প্রিয়া ইশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। সেখান থেকে পদত্যাগ করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জেলা আওয়ামী লীগের এই ‘বিরোধী’ মেটাতে পাবনা সফরে যাচ্ছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
জামালপুরে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন মো. এইচ আর জাহিদ আনোয়ার। এই জেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সরওয়ার জাহান, ফারুক আহমেদ চৌধুরীর সহধর্মিণী আঞ্জুমান আরা বেগম।
জামালপুর সফরে যাচ্ছেন সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
নরসিংদীতে অ্যাডভোকেট মো. আসাদোজ্জামান দলের সমর্থন পেয়েছেন তবে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া। নরসিংদী সফরে যাচ্ছেন সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন। এখানে দলীয় পদ-পদবীধারী নেতারা হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। মানিকগঞ্জ সফরে যাচ্ছেন দলটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোওয়ার হোসেন।
৬১টি জেলার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ২২ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৩৯ জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১২৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০টি জেলায় দল সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলের পদ-পদবী ধারণকারী নেতারা।