চট্টগ্রাম বন্দরে আড়াই কোটি টাকার প্রসাধনীপণ্য আটক

ctg20161226222527চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত কসমেটিকসের দুটো কন্টেইনার আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। পণ্যচালানটির আমদানিকারক এএম ট্রেডিং, ৬৬ মৌলভীবাজার, ঢাকা এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট টিএস কর্পোরেশন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা শুল্ক পরিশোধের পরে ডেলিভারির পূর্বে পণ্যচালানটি আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

সূত্র জানায়, আমদানিকৃত/কায়িক পরীক্ষায় প্রাপ্ত সব পণ্যই ঘোষণাবহির্ভূত। প্রাপ্ত পণ্যসমূহের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। (শুল্ক-করাদিসহ)।

ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য ছিল পার্টি স্প্রে। কিন্তু পাওয়া যায় উচ্চ শুল্কের বিভিন্ন পণ্য। আমদানিকৃত পণ্যসমূহের কান্ট্রি অব অরিজিন থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।

গোপন সংবাদ থাকায় শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক পণ্যটি ডেলিভারি পর্যায়ে আটক ও শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় ঘোষিত পণ্য একটিও পাওয়া যায়নি।

প্রাপ্ত পণ্যসমূহ হলো;
১) ডাভ বিউটি ক্রিম ৪,৩৬৫ কেজি
২) ইম্পেরিয়াল লেদার সোপ ৫,৪৭২ কেজি
৩) সানসিল্ক শ্যাম্পু ১,০৯৮ কেজি
৪) ডাভ প্যাম্পারিং লোশন ৮২১ কেজি
৫) জিলেট শেভিং জেল ৩,২১২ কেজি
৬) পামঅলিভ শাওয়ার জেল ২,৫৪০ কেজি
৭) ফেয়ার এন্ড লাভলী ফেসওয়াশ/ক্রিম ১৩২৭ কেজি
৮) ডাভ বডি ওয়াশ ৬৭৮ কেজি
৯) এক্স ডিও বডি স্প্রে ৪০৮ কেজি।

শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষে প্রথমে শুল্ক-করাদি পরিশোধ করা হয় ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এ অবস্থায় রাজস্বহানির আশঙ্কা ছিল প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঠিক শুল্ক-করাদি আদায় করার জন্য কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম এর নিকট মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.