উদ্বোধনী দিনে চট্টগ্রাম ও সৈয়দপুরের ফ্লাইট বাতিল # শুরুতেই হোচট খেল বিমানের মেঘদূত-ময়ুরপঙ্খীর ফ্লাইট
অভিষেকটা ভালো হলো না। অভ্যন্তরিন রুটে ফ্লাইট পরিচালনার শুরুতেই যান্ত্রিক ত্র“টির কবলে পড়ে গেছে লিজে আনা উড়োজাহাজ ময়ুরপঙ্খী ও মেঘদূত। আর একারণে সোমবার প্রথম দিনের সবগুলো ফ্লাইট সিডিউল লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ত্র“টি মেরামতে সময় লাগায় বাতিল করা হয়েছে চট্টগ্রাম ও সৈয়দপুরের দুটি ফ্লাইট। নির্দিষ্ট সময়ে ফ্লাইট না যাওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রীরা বিমানের বিরুদ্ধে শ্লোগানও দিয়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে।
সোমবার উদ্বোধনী দিনে ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে ৬টি ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোন ফ্লাইটই যথাসময়ে যেতে পারেনি। ফ্লাইটগুলোকে স্বাগত জানাতে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ সবগুলো বিমানবন্দরে সরকার ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা যাত্রীদের ফুল দিয়ে স্বাগতও জানান। কিন্তু বিপত্তি ঘটে যথাসময়ে ফ্লাইট না যাওয়ায়। জানা গেছে, সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ময়ুরপঙ্খীর। যথাসময়ে যাত্রীদের উড়োজাহাজে উঠানোও হয়েছিল। কিন্তু পাইলট ফ্লাইটটি টেকঅফ করার পরই দেখতে পান বিমানের ইঞ্জিনের নিউমেটিং বাল্ব কাজ করছে না। এই নিউমেটিং বাল্বের মাধ্যমে বিমানের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস ও পাখার মধ্যে গরম বাতাস সরবরাহ করা হয়। এই অবস্থায় পাইলট উড্ডয়নের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। পরে মিশর থেকে আসা বিমান প্রকৌশলীরা দীর্ঘসময় চেষ্টা করে উড়োজাহাজটি চলাচলের উপযুক্ত করেন। ততক্ষণে চট্টগ্রামের ফ্লাইটটি বাতিল করতে হয়। তবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের বিমানের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হয়। এরপর অপর এয়ারক্রাফট মেঘদূত ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো ঢাকা থেকে কক্সবাজারে। কিন্তু সেটিতেও যাত্রী উঠানোর পর যান্ত্রিক ত্র“টি ধরা পড়ে। ওই ফ্লাইটে ছিলেন, বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। পরে যাত্রীদের উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে টার্মিনালে নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ প্রায় ২ ঘণ্টা পর ফ্লাইটটি চলাচলের উপযুক্ত হয়।