ঢাকা: রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘মনিটর ঢাকা ট্রাভেল মার্ট-২০১৫’।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল’২০১৫) সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বিমানের সিইও কাইল হেউড, বাংলাদেশ মনিটরের প্রধান সম্পাদক রাকিব সিদ্দিকী।
ভ্রমণবিষয়ক পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর দ্বাদশবারের মতো এ মেলার আয়োজন করছে। ঢাকা ট্রাভেল মার্ট-২০১৫ আয়োজনে পার্টনার হিসেবে সহায়তা করছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের এয়ারলাইন্সগুলো আকর্ষণীয় প্যাকেজ ঘোষণার মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারে। এর বাইরে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরও এদেশে আসতে উৎসাহিত করতে হবে।
আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও দি বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘দেশে একটি টেকসই পর্যটন খাত সৃষ্টি করতে হলে বর্ধিত সংখ্যায় বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করা জরুরি। আর এজন্য অনেক কিছুই করতে হবে। সর্বপ্রথমে আমাদের নির্ধারণ করতে হবে কোন পর্যটন পণ্যটি আমরা বিশ্ববাজারে তুলে ধরব এবং কিভাবে তুলে ধরব। এর পাশাপাশি যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য সুবিধাও তৈরি করতে হবে।’
বিগত বছরগুলোতে এই মেলাকে কেন্দ্র করে পর্যটনের প্রতি জনগণের আগ্রহ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশে নতুন নতুন অপারেটর তৈরি হয়েছে, তারা ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছে। অনেকে পরিবারসহ মেলায় এসে তার পছন্দমতো ট্যুর প্যাকেজ অফার করছেন। এ ধরনের প্যাকেজে নিরাপদে কোনো ধরনের ঝক্কি ঝামেলা ছাড়া মানুষ ভ্রমণ করতে পারছেন। অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এ খাতটিতে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে পর্যটন পেশার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন কাজী ওয়াহিদুল আলম।
স্বাগতিক বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ৫০টির অধিক সংস্থা মেলায় অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় পর্যটন সংস্থা, বিমান সংস্থা, ট্রাভেল ও ট্যুর অপারেটর, হোটেল ও রিসোর্ট, পর্যটন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলো মেলা চলাকালীন দর্শনার্থীদের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে বিমান টিকেট, আকর্ষণীয় ট্যুর প্যাকেজসহ বিভিন্ন সেবা উপস্থাপন করবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। এতে জনপ্রতি ২৫ টাকা প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে। প্রবেশ কুপনের ওপর প্রতিদিন সন্ধ্যায় র্যাফল ড্র অনুষ্ঠিত হবে, আর শেষদিন (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭.৩০ মি. গ্র্যান্ড র্যাফেল ড্র’র ব্যবস্থা থাকবে। র্যাফল ড্র বিজয়ীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গন্তব্যের এয়ার টিকিট, ট্যুর প্যাকেজ, তারকা হোটেলে রাত্রিযাপন, লাঞ্চ ও ডিনার কুপনসহ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করবেন।