বাংলাদেশের ১০০ মাইলের মধ্যেই নিখোঁজ বিমানের অবস্থান!

malaysia-airlines-Bangoposhagorএভিয়েশন নিউজ: বহুল আলোচিত নিখোঁজ মালয়েশিয়ার বিমানটি বাংলাদেশের ১০০ মাইলের মধ্যেই অবস্থান করছে। অস্ট্রেলিয়ান অনুসন্ধান কোম্পানি জিওরিজোন্যান্স এ তথ্য দিয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকার এই তথ্যটিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।

তারাও বলছে, জিওরিজোন্যান্স বাংলাদেশের ১০০ মাইল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে একটি বাণিজ্যিক বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। তাই মালয়েশিয়াও ওই সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি জিওরিজোন্যান্স বঙ্গোপসাগরে পানিপ্রবাহের বিশৃঙ্খলা মেপে সেখানে একটি ‘বাণিজ্যিক বিমান’-এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার সম্ভাবনার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানায়।

জিওরিজোন্যান্স জানায়, মার্চ মাসের ৫ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে ১০০ মাইলের মধ্যে পানির অনিয়মিত প্রবাহ লক্ষ্য করেছে। বিভিন্ন ধরনের তথ্য-উপাত্ত দেখে তাদের মনে হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওই নির্দিষ্ট অংশে অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়াম, কপার, স্টিল, জেট ফুয়েলের ধ্বংসাবশেষ এবং আরো এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা সাধারণত বাণিজ্যিক বিমান বোয়িং ৭৭৭-এ ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান এমএইচ৩৭০ একটি বোয়িং ৭৭৭।

অনুসন্ধান কম্পানিটি আরো জানিয়েছে, তাদের এই অনুসন্ধানের প্রাথমিক তথ্য তারা অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষকে গত ৪ এপ্রিল সরবরাহ করে। আরো গভীর অনুসন্ধান শেষে গত ১৫ এপ্রিল তারা ২৩ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনটি মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত মালয়েশিয়ান দূতাবাস, চীনা দূতাবাস এবং অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করে।

ওই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে সিবিএস নিউজ গতকাল এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এদিকে নিখোঁজ বিমানটির খোঁজে সমুদ্রের উপরিভাগে নতুন অনুসন্ধান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে দেশটির বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা কক সু চোনকে প্রধান করে একটি তদন্ত দলও গঠন করা হয়েছে।

এ দলে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের একজন সদস্যসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা রয়েছেন বলে মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত পরিবহনমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন। মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত পরিবহনমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেন গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখবে অনুসন্ধান কম্পানি।

তিনি বলেন, ‘সরকার বিমানটির খোঁজে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। অস্ট্রেলিয়ান কম্পানি জিওরিজোন্যান্স বঙ্গোপসাগরে বিমানটি পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞরা সে সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন।’

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.