বিমান ডে-কেয়ার সেন্টার এর শুভ উদ্বোধন

biman day careবেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, এমপি আজ অপরাহ্নে বিমান প্রধান কার্যালয়ে নব-নির্মিত ‘বিমান ডে-কেয়ার সেন্টার’-এর শুভ উদ্বোধন করেন। বিমানবন্দর এলাকায় কর্মরত বিমান মহিলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশু ও নাবালক সন্তান-সন্ততিরা অফিস চলাকালীন সময়ে এই ডে-কেয়ার সেন্টার-এ থাকা ও প্রতিপালিত হওয়ার সুযোগ-সুবিধা পাবে। কর্মজীবি মায়েদের সন্তান-সন্ততিদের জন্য এই সুবিধার আয়োজন করা সংস্থার জন্য শ্রম আইনে আবশ্যিক।

মাননীয় মন্ত্রী ‘ডে-কেয়ার সেন্টার-টি নির্মানের জন্য বিমান ব্যবস্থাপনাকে ধন্যবাদ জানান। বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ (অবঃ), বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কায়েল হেয়্যূড, বিমান সিবিএ-র সভাপতি মশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মন্তাছার রহমানসহ বিমানের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিমান ডে-কেয়ার সেন্টার-টি বিমান প্রধান কার্যালয়, বলাকা ভবনের নীচ তলায় অবস্থিত। বাচ্চাদের থাকার জন্য এটিকে যথাসম্ভব সু-সজ্জিত করা হয়েছে। একটি ডে-কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১০ সালে বিমানের মহিলা কর্মচারীরা ব্যবস্থাপনাকে অনুরোধ জানায়। উল্লেখ্য যে, বিমানবন্দর সংলগ্ন বিমান অফিসগুলিতে বর্তমানে ২৮ জন মহিলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যেকের ৫ বছরের নীচে শিশু সন্তান রয়েছে।

বিমান ডে কেয়ার সেন্টার সম্পর্কে  বিমান পরিচালণা পর্যদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা এখন এমন এক প্রতিযোগিতামূলক যুগে বাস করছি যেখানে বাবা-মা উভয়েই পেশাগত কাজে যুক্ত এবং এক্ষেত্রে মানসম্পন্ন ডে কেয়ার সুবিধা এক আকাঙ্খিত সুযোগ। কারণ কোন বাবা-মাই তার ছোট্ট সোনামণির দেখভালের বিষয়টিতে ছাড় দিতে চান না। তিনি বলেন, কাজের সময় তাদের সন্তানদের লালন-পালন ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে কর্মীদের একটি নির্ভার কর্মক্ষেত্র প্রদান করতে বিমান ডে কেয়ার সুবিধা চালু করেছে।

চেয়ারম্যান আরো  বলেন, বিমান প্রধান কার্যালয়ের কাছাকাছিই ডে কেয়ার সেন্টারের অবস্থান হওয়ায় কর্মীরা অফিসে আসার আগে সেখানে তাদের সন্তানদের রেখে এবং বিকাল যাওয়ার সময় তাদের নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এখানে পর্যাপ্ত  শিশু পরিচর্যাকর্মী ও শিক্ষকের উপস্থিতি শিশুদের যতেœর বিষয়ে নিয়ে অভিভাবকদের নিশ্চিন্ত রাখবেন।

তিনি বলেন, শিশু-শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করবে সেন্টারটি। এখানে ছয় মাস থেকে শুরু করে ৫/৬ বছরের শিশুদের দেখভাল করা এবং বয়স উপযোগী যতেœর মাধ্যমে তাদের সামাজিক দক্ষতা ও শিক্ষণ ক্ষমতা গড়ে তোলা হবে।

বিমান সুত্রে জানাগেছে বিমান ডে কেয়ার সেন্টারে শিশুদের প্রাক-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা; যেমন: আঁকা, পেস্টিং, ছড়া, বর্ণ ও গণনা শিক্ষা দেয়া হবে। এগুলো শিশু শিক্ষার সহযোগি হিসাবে প্রদান করা হবে। শিশুদের আঁকা ছবিগুলো বোর্ডে পিন দিয়ে আটকে রাখা হবে। এতে শিশুরা উৎসাহ পাবে এবং অন্য শিশুরাও উৎসাহিত হবে।

শিশুদের নিরাপদ ও শিক্ষা-উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি বিমান ডে কেয়ার সেন্টার শিশুদের সামাজিকায়নের সুযোগ তৈরি করবে। কারণ তারা বিভিন্ন পারিবারিক ও সামজিক আবহ থেকে এসে একসাথে সময় কাটানোর সুযোগ পাবে। এর ফলে শিশুরা সবার সাথে মিশতে এবং সহজে বন্ধু বানাতে পারে- যা আজকের বিশ্বে খুবই জরুরী।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.