বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ইরানের বিপ্লবের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদের ইউনিপোলার রাজনীতির স্তম্ভ চুর্ণ হয়েছে। বিশ্বের জাতি সমূহের মাঝে শোষক ও স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়েছে। এ চেতনার আলোকে বর্তমানে ল্যাটিন আমেরিকার কিউবা, ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, ব্রজিল, আর্জেন্টিনা ও নিকারাগুয়াসহ অনেক দেশেই উপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এখানেই ইরানের বিপ্লবের স্বার্থকর্তা। ইরানের বিপ্লব তাই এখনও প্রাসঙ্গিক ও প্রায়োগিক।
জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে শনিবার বিকেলে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও জাতীয় যাদুঘর ইরানের ৩৮তম বিপ্লব ও ৫ দিনব্যাপি ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শান্তির ধর্ম ইসলামের সাম্য-মৈত্রী-ভ্রাতৃত্বের বাণি ভুলে গিয়ে বিপথগামী একটি গোষ্ঠি সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি ত্রাস সৃষ্টি করছে যা প্রকান্তরে মানবতার ধর্ম ইসলামকে কলুষিত করছে। এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-ইরানসহ মুসলিম উম্মাহকে সজাগ ও সচেতন থেকে এ অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে এবং মুসলমানদের মাঝে শিয়া সুন্নীসহ সকল ভ্রাতৃঘাতী বিভেদের রেখা মুছে ফেলতে হবে। এ জন্য ইরানি চলচ্চিত্র বেশি বেশি করে দেখতে ও উপলদ্ধি করতে হবে।
জাতীয় যাদুঘরের মহাপরিচালক ফায়জুল লতিফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজী দেহনভী, চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, প্রফেসর ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।