এভিয়েশন নিউজ: চলতি বছরের হজ যাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২৭ আগস্ট, চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ফিরতি হজ ফ্লাইট ৮ অক্টোবর শুরু হয়ে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আজ বুধবার দুপুরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠক শেষে এ খবর জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। মন্ত্রী বলেন, ২৭ আগস্ট ২০১৪ সালের হজ যাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে, চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বৈঠকে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী বাবুল হাসান, বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ বিমান, হাব ও আটাব প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এবার হজ ফ্লাইটের জন্য কোনো প্লেন ভাড়া করছে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হওয়া চারটি সর্বাধুনিক উড়োজাহাজের মাধ্যমেই এবারের হজ যাত্রী পরিবহন করা হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫৪ হাজার হজ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। সে মোতাবেক ৫১ হাজার যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য ১২৫টি সিডিউল বরাদ্দের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান ৫০ শতাংশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হজ যাত্রী পরিবহন করবে বলেও জানান মন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,হজ যাত্রী পরিবহন করতে গিয়ে অন্যান্য রুটের যাত্রীদের কোনো দুর্ভোগের সম্ভাবনা নেই। সেভাবেই সিডিউল করা হয়েছে। রাশেদ খান মেনন বলেন, এ বছর সবচেয়ে সুখবর হচ্ছে যাত্রীদের মালামাল নিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। ঢাকা, মক্কা ও মদীনায় বিনা খরচে সিটি চেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে।
যাত্রীদের শুধু হ্যান্ড ব্যাগেজ নিয়ে যেতে হবে। বিমানে পরিবহন নিষিদ্ধ এমন কিছু হ্যান্ড ব্যাগেজে (যেমন ছুরি, দিয়াশলাই ইত্যাদি) না রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, অনেকে হজ শেষে দ্রুত দেশে ফিরতে চান। অনেকে নির্ধারিত টিকিট ফেলে, নতুন টিকেটে দেশে ফেরেন। তাদের জন্য সংক্ষিপ্ত প্যাকেজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিগত সময়েও ভালোভাবে হজ পরিচালনা করেছে। এ বছর আরও সুন্দর করতে সকলেও সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।