বিপজ্জনক পদ্ধতিতে বিমান চালালে পাঁচ বছরের দণ্ড
বিপজ্জনক পদ্ধতিতে বিমান চালনায় কমপক্ষে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ বছর ও সর্বনিম্ন ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ন্যূনতম দুই কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান করা হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল আইন ২০১৭-এর খসড়ায় এসব উল্লেখ রয়েছে। আইনটির খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।
এবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকের এজেন্ডায় আরও রয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আইন, ২০১৭-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন, বস্ত্রনীতি ২০১৭-এর খসড়ার অনুমোদন এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ২০১৭-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন।
মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বে অ্যাভিয়েশন সেফটি সংক্রান্ত উদ্বেগ দূর করতে বেসামরিক বিমান চলাচল আইন কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনটি ১৯৬০ সালে প্রণীত। প্রস্তাবিত আইনের খসড়া প্রণয়নের ক্ষেত্রে ১৯৬০ সালের অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় ধারাগুলো বহাল রেখে যুগোপযোগী ও হালনাগাদকরণসহ ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন অনুসরণ করে কিছু বিষয় সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত আইন, বিধি, প্রবিধানের কোনো শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দ- প্রদানের উদ্দেশ্যে বর্তমান অধ্যাদেশের বিধানটিকে আরও সমৃদ্ধ এবং সুস্পষ্টকরণ করে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়া আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফ্লাইটে নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিয়োগের বিধান, বিমান দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান, বেসামরিক বিমান হিসেবে রাষ্ট্রীয় বিমানের ব্যবহার, বেসামরিক বিমান চলাচল ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য বেআইনি আচরণের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রদান।
