নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূস আর্থিক সেবাকে অর্থনৈতিক জীবনের অক্সিজেন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, জনসংখ্যার নিচের অর্ধেক, বিশেষ করে নিচের দিকের মহিলারা এই অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত। আর এ কারণেই অর্থনৈতিক জীবনে তারা খুব দুর্বল থেকে যাচ্ছে। কিছু সুবিধাভোগী এই অক্সিজেন একচেটিয়াভাবে ভোগ করছে।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের রাজ্যসভা আয়োজিত জাতীয় নারী পার্লামেন্টের ৩ দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রদত্ত মূল সম্মেলন বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন। গত শুক্রবার অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী অমরাবতীতে ‘নারীর ক্ষমতায়ন- শক্তিশালী গণতন্ত্র’ শীর্ষক এই সম্মেলন শুরু হয়েছে।
ভারতের সকল রাজ্য থেকে প্রায় ১২ হাজার তরুণী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। প্রফেসর ইউনূস বলেন, “অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র নিশ্চিত করা সমাজের মৌলিক লক্ষ্যগুলোর একটি। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, অংশগ্রহণমূলক অর্থনীতি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র সম্ভব নয়। আমরা যে অর্থনীতিতে বাস করছি তা কোনভাবেই অংশগ্রহণমূলক নয়। সমাজের নিচের অর্ধেক মানুষের এতে খুব সামান্যই অংশগ্রহণ রয়েছে। পৃথিবীর মাত্র ১ শতাংশ মানুষ এর ৯৯ শতাংশ সম্পদের মালিক। এটাকে কোনোভাবেই অংশগ্রহণমূলক বলা চলেনা।”
নোবেল লরিয়েট ও আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা, ইউনিয়ন মন্ত্রী এম ভেংকাইশ নাইডু ও পি অশোক গজপতি রাজু, অন্ধ্র প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু, পুডুচেরী লেফটেন্যান্ট গভর্ণর কিরণ বেদী, গান্ধীবাদী ইলা ভাট, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা এবং বিশিষ্ট আরো অনেক অতিথি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।