পাঁচ বছর আগে কাতার এয়ারওয়েজের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার চিন্তা করেছিলেন সংস্থাটির শেয়ারহোল্ডাররা। মূলত বিপুল পরিমাণ দায়ের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন তারা। তিনটি মার্কিন উড়োজাহাজ সংস্থা সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
পার্টনারশিপ ফর ওপেন অ্যান্ড ফেয়ার স্কাইসের ছত্রে থাকা ডেল্টা এয়ারলাইনস, আমেরিকান এয়ারলাইনস ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনস দুই বছর তদন্ত শেষে কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজের আর্থিক রেকর্ডগুলো প্রকাশ করেছে। এসব তথ্য-প্রমাণের ওপর ভর করে মার্কিন উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো দাবি করছে, তাদের উপসাগরীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরা ২০০৪ সাল থেকে ভর্তুকি ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা বাবদ ৪২ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, তারা উপসাগরীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর বিভিন্ন দেশের স্থানীয় কার্যক্রম থেকে আর্থিক বিবৃতি, চার্টার ডকুমেন্ট ও বাণিজ্যিক নিবন্ধন জোগাড় করেছেন। সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও যুক্তরাজ্যসহ মোট ৩০টি দেশ ঘুরে এসব তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তারা। তদন্তে কাতার এয়ারওয়েজের ১৯ বছরের আর্থিক লেনদেনগুলো উদ্ঘাটন করা হয়েছে।
২০০৯ সালে কাতার এয়ারওয়েজের আর্থিক হিসাবে (যা আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং নিরীক্ষা করেছে) দেখা গেছে, উড়োজাহাজ সংস্থাটির সার্বিক লোকসান তাদের মূলধনের ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির এক জরুরি সাধারণ সভায় (ইজিএম) প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কীভাবে গুটিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। নথিপত্রে দেখা যায়, শেয়ার হ্রাস অথবা অন্য কোনো উপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তা করা হয়েছিল।
প্রাপ্ত নথিতে আরো দেখা যায়, যে কোনো দায় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাওয়ায় ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর কাতার এয়ারওয়েজের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন শেয়ারহোল্ডাররা। তবে এ বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
আরও খবর