খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন না। যুদ্ধ পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন না বলেই দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার সুযোগ পেয়েছিল।
আজ শনিবার বিকালে ঢাকার দোহারে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে আছে। আর উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্য। সকল ক্ষেত্রে আমাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) যে অর্জন তা কিছুতে নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আবেদন অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আমরা চাই এতে স্বচ্ছ ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা তৈরি হবে। সে কারণেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তা করার বা কাউকে বাদ দেয়ার উদ্দেশ্যে এ কার্যক্রম নয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, আইজিআর খান আব্দুল মান্নান, দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম আল আমীন, যুদ্ধকালীন তিন থানার কমান্ডার ডা. আবুল কালাম, ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি আবু সাইদ, দোহার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজ্জব আলী মোল্লা, ঢাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি শফিউল আলম বারকু, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল প্রমূখ।