খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা জনরোষের বহিঃপ্রকাশ: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত

যুক্তরাষ্ট্র অফিস: যুক্তরাষ্ট্র সফররত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের শত্রু। গত তিনমাসে আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা মেনে তিনি দুইশ মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। দুই লাখ কোটি টাকার জানমালের ক্ষতি করেছেন। জনগণ তার প্রতি ক্ষুব্ধ। আর এ কারণেই খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে যে ধরনের হামলা হচ্ছে তা জনরোষের বহিঃপ্রকাশ। 

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের ভাল চান না। তার কারণে দেশের অর্থনীতির অনেক ক্ষতি হয়েছে। 
 স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। 
মতবিনিময় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুররহমান সাজ্জাদ। 
 মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রপ্তানি বৃদ্ধি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে তা ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এর অন্যতম কারণ বিভাজিত রাজনীতি, বিশেষ করে আমাদের রাজনীতিতে কোনো স্বচ্ছতা নেই। 
 তিনি বলেন, খালেদা জিয়া পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ মারার ট্র্যাডিশন শুরু করেছেন। এজন্য তাকে দেশের শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। 
 এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৪ সাল ছিল বাংলাদেশের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ বছর। এ ধরনের সমৃদ্ধির বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো আসেনি। কিন্তু খালেদা জিয়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ শুরু করলেন। তবে জানুয়ারি মাসে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা সরকার অনেকটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। 
মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বব্যাংক তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। তারা দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পায়নি। তবে বর্তমান সরকার নিজেই এখন পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে, যা ২০১৮ সালে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। 
 তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য যেটা ভাল মনে করেন তা-ই করেন। 
 মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, সহ-সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী, আবুল কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুকু, উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, কার্যকরী সদস্য শাহানারা রহমান, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, সিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, ব্রুকলিন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম নজরুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী প্রমুখ। 
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থায়ী মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.