বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কিংবা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যৌথ তদন্তের কথা থাকলেও সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিজিবি ও বিএসএফ।
মঙ্গলবার ঢাকায় পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবুল হোসেন ।
ঢাকায় ৪৪তম সীমান্ত সম্মেলন বুধবার শেষ হবে। এরপরই ঢাকা ত্যাগ করবে বিএসএফ’র প্রতিনিধি দল। এর আগেই বিকেল সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিজিবির প্রধান আবুল হোসেন বলেন, সীমান্তের হত্যা কিংবা অন্য যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করার এখতিয়ার বিজিবি’র নেই। যে কোনো ফৌজদারি অপরাধের তদন্তের জন্য পুলিশ রয়েছে। একইভাবে বিএসএফ’রও এখতিয়ার নেই। যে কারণে এখন থেকে হত্যাসহ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় ঘটনাস্থল যৌথভাবে পরিদর্শন, সনাক্তকরণ ও মূল্যায়ন করবে, তবে যৌথ তদন্ত হবে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের সীমান্ত সম্মেলনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ-ভারত সম্মেলনে হত্যাসহ যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে তদন্ত করবে। হত্যার বিষয়ে জোড়ালো পদক্ষেপ নেয়ারও কথা বলা হয়েছিল। ওই সম্মেলনের বিজিবির নেতৃত্ব দেন তৎকালীন ডিজি মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা বলেন, জঙ্গি বিষয়ে বিএসএফ যদি কোনো ধরনের তথ্য পায়, অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। জঙ্গিবাদ সমস্যা সমাধানে বিএসএফ’র পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা’র নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ২৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।