মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকের প্রথম ফ্লাইট ১০ মার্চ

malaysia20170111030013অবশেষে শুরু হচ্ছে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি। আগামী ১০ মার্চ ২০০ জন কর্মী নিয়ে মালয়েশিয়াগামী প্রথম ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। বিষয়টি এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। যাত্রীদের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানাবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।

জনশক্তি রফতানিকারক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া থেকে সত্যায়িত হয়ে এরই মধ্যে নয় হাজার চাহিদাপত্র এসেছে। এর মধ্যে প্লানটেশন, ফ্যাক্টরি ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে নিয়োগানুমতিও পাওয়া গেছে।

মালয়েশিয়া সরকারের চাহিদাপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অনুকূলে যে চাহিদাপত্র ইস্যু হয়েছে তাতে তিন বছর কাজের সুযোগ রাখা থাকবে। এখান থেকে কর্মীরা টানা ১০ বছর পর্যন্ত চাকরির পারমিট নবায়ন করতে পারবেন। কর্মীদের দৈনিক কর্মঘণ্টা হবে ৮ ঘণ্টা। কেউ চাইলে ওভারটাইম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারের শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে। কর্মীদের মাসিক বেতন চুক্তিপত্রে যা উল্লেখ থাকবে তাই দেয়া হবে। এর কম হবে না। কর্মীদের বেতন যাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। কোনো কোম্পানি যদি কর্মীদের বেতন-ভাতা কম দিতে চায়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা চলে যাবে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ প্রসঙ্গে বায়রার মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন জানান, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে প্রায় ৫০০ কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে। এর মধ্যে প্রথম ফ্লাইটে ২০০ জন কর্মী যাবেন আগামী ১০ মার্চ। এজন্য মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসে টিকিট বুকিংও দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ১২ মার্চ ১০০ জন ও ১৫ মার্চ আরো ২০০ জন কর্মী মালয়েশিয়া যাবেন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে এসব কর্মীর নিয়োগকর্তা কর্তৃক বাছাই ও মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে সব ধরনের কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মালয়েশিয়া। মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার চিঠির জবাব দেয় ১৬ জানুয়ারি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বলা হয়, বাংলাদেশও কর্মী পাঠাতে প্রস্তুত।

এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে কর্মী পাঠানোর সুযোগ রেখে উভয় দেশের মধ্যে ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির পরের দিনই মালয়েশিয়া সরকার বিদেশী কর্মী নেয়া বন্ধ ঘোষণা করে। কয়েক মাস আগে বিদেশী কর্মী না নেয়ার ঘোষণাটি প্রত্যাহারের পর জিটুজি প্লাস চুক্তির আলোকে কর্মী নিয়োগের বিষয়টি আবারো সামনে চলে আসে। প্লান্টেশন, এগ্রিকালচার, ম্যানুফাকচারিং, কনস্ট্রাকশনসহ মোট পাঁচটি খাতে বিপুলসংখ্যক কর্মী নেয়ার ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া সরকার।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.