বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী, দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ যুদ্ধবিমানটির নাম হচ্ছে ‘এফ-৩৫’। দানবীয় সব ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানটিকে ‘আমেরিকার আলাদিনের চেরাগ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিশেষ মিত্র ছাড়া এটি কোথাও বিক্রি করে না দেশটি।
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের কেনার ইচ্ছা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র বিক্রি করেনি। তবে বৃহস্পতিবার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছর ইসরাইলকে এফ-৩৫ বিমান দেয়া হবে। ইসরাইলের স্বাধীনতা দিবসে ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, এটি আমাদের সেরা যুদ্ধবিমান। মধ্যপ্রাচ্যে এই প্রথম ইসরাইলই পঞ্চম প্রজন্মের এই বিমান পেতে যাচ্ছে।
এই অঞ্চলে ইসরাইলের সামরিক সক্ষমতাকে অন্য সবার উপরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিকে অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী বছরই আমরা ইসরাইলের কাছে এফ-৩৫ হস্তান্তর করবো। ২০১০ সালে ১৯টি এফ-৩৫ বিমান ক্রয়ের জন ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তি করলেও এতদিন সেগুলো হস্তান্তর করা হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে অব্যাহতভাবে ইরানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং তার ফলে ইসরাইল, সউদি আরবসহ সুন্নী আরব শক্তিগুলোর প্রতি হুমকি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অনেকে মনে করছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার আরব মিত্রদের কাছেও এফ-৩৫ বিক্রি করতে পারে, যা এতদিন ইসরাইলের সামরিক সক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যে সবার উপরে রাখারা স্বার্থে মার্কিন কংগ্রেসের আইন দ্বারা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কথা ভাবছিল ওবামা প্রশাসন। কিন্তু ইসরাইলের সামরিক সক্ষমতা চ্যালেঞ্জমুক্ত রাখাতে ভাইস প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ইরানি হুমকি সউদি আরব কিভাবে মোকাবিলা করবে সেটাই দেখার বিষয়।