সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী ১ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, রবিবার দুপুর ১২টায় সাক্ষ্য প্রদান শুরু করেন খাদিজা। আদালতে খাদিজা বলেন, ‘গত বছরের ৩ অক্টোবর আনুমানিক বিকাল ৫টার সময় এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে এক বান্ধবীর সঙ্গে বেরিয়ে আসার সময় বদরুল আমার পথরোধ করেন। তিনি আমার ওপর ধারালো চাপাতি দিয়ে হামলা চালান। আমাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেন। বদরুল আমাকে অনেকটা প্রতিবন্ধী করে দিয়েছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
সাক্ষ্য প্রদান শেষে বদরুলের আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান খাদিজাকে জেরা করেন। তিনি খাদিজাকে প্রশ্ন করেন, ‘বদরুলের সঙ্গে আপনার পরিচয় কিভাবে হয়েছিল?’
উত্তরে খাদিজা বলেন, ‘পাঁচ-ছয় বছর আগে তিনি আমাদের বাড়িতে লজিং মাস্টার ছিলেন।’
বদরুলের আইনজীবী খাদিজাকে বলেন, ‘বদরুলের সঙ্গে আপনার ভালবাসার সম্পর্ক ছিল।’ খাদিজা তা অস্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। ঘটনার পর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এনে প্রথম দিকে খাদিজাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তিন দফা অস্ত্রোপচার হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২৮ নভেম্বর খাদিজাকে সাভারে সিআরপিতে নেয়া হয়।