একের পর এক অনুভূত হচ্ছে ভূমিকম্প। এক ঘণ্টার ব্যবধানে পাঁচ দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ঢাকাসহ সারা দেশে। যা একযোগে কাঁপিয়েছে ভারত ও নেপালকেও। সবকটি ভূমিকম্পেরই উৎপত্তিস্থল ছিলো নেপাল।
ইউএসজিএ জানায়, প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ১৩ মিনিটে। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিলো নেপালের পোখরায়। সেখানে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলো ৭.৯। বাংলাদেশে তা অনুভূত হয় ৭.৫ মাত্রায়। একই মাত্রায় ভারতকে কাঁপিয়ে তোলে ওই প্রথম ভূমিকম্পটি।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় ভূমিকম্পের পরাঘাত (আফটার শক)গুলো। প্রথম ভূমিকম্পের ১৭ মিনিটের মধ্যে ৫.৪ মাত্রার একটি কম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশে। এরপর ৭ মিনিট পর আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় যাত্রা মাত্রা ছিলো ৬.৫। আর তার প্রায় ১০ মিনিট পরে বাংলাদেশ সময় ১২টা ৫৮ মিনিটে চতূর্থ কম্পনটি অনুভুত হয়। যার মাত্রা ছিলো ৫.৮। আর পঞ্চম ভূমিকম্পটি হয় বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ১৫ মিনিটে। যার মাত্রা ছিলো ৫.২।
এদিকে অনেকটা একই সময়ে জাপানে একটি ভূমিকম্প হয়। যার মাত্রা ছিলো ৬.০।
নেপালে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা গেছে। ঢাকায় একটি ভবনে ফাঁটল ধরার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়মনসিংহের একটি স্কুলের ভবন ধসে শিক্ষক-ছাত্রসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
দেশেজুড়ে অনুভূত হওয়া ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এসময় বিভিন্ন এলাকার অফিস-বাসাবাড়ির লোকজন হুড়োহুড়ি করে কেউবা রাস্তায় আবার কেউ বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেয়।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১২টা ১১ মিনিট থেকে প্রায় মিনিটব্যাপী এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
মতিঝিল এলাকায় প্রায় সবগুলো অফিস থেকে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
ঢাকা মেডিকেল থেকে জহিরুল ইসলাম নামে এ শিক্ষার্থী জানান, ভূমিকম্প আতঙ্কে জরুরি বিভাগের সব রোগী বের হয়ে আসে।
পুরান ঢাকাতেও রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। ওই এলাকায় অধিকারশ ভবন ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকায় তাদের মধ্যে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এছাড়াও এয়ারপোর্ট, হোটেল সোনাগাঁও, গুলশান, মিরপুরসহ প্রায় সবকটি এলাকায়ও মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে। এয়ারপোর্ট এলাকায় ভূমিকম্প আতঙ্কে মানুষজন গাড়ি থামিয় রাস্তায় অবস্থান করছে।