জোবায়ের আহম্মেদ অভি: চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ বিদেশে নারী শ্রমিক পাঠাতে পারছে না। সূত্র জানায়, সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ৪০ হাজার নারী শ্রমিক চেয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপন দিয়েও এ ব্যাপারে নারী শ্রমিকদের সাড়া পায়নি। সূত্র জানায়, সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য ৩ হাজারের কিছু বেশি শ্রমিক নিবন্ধন করেছে।
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, শ্রমের চেয়ে কম বেতন- এসব কারণে বিদেশে গিয়ে নারী শ্রমিকরা সমস্যায় পড়ছে। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী নারীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত ও তাদের উন্নয়নে নারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, যেকোনো সমস্যায় অনলাইনে সরাসরি অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতায় আউট পাসের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গেছে, এবার সৌদিআরবে নারী শ্রমিকদের সাড়া না পাওয়ায় সৌদিতে তাদের পাঠানোর ব্যাপারে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সহায়তা চেয়েছে সরকার। প্রতিটি এজেন্টকে ২০ জন করে নারী শ্রমিক দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, আগে নারীরা প্রশিক্ষণ ছাড়া কাজ করতে যেতেন। এজন্য সমস্যা হতো। এখন অবস্থা বদলেছে। এখন তাদের আগের মতো সমস্যায় পড়তে হবে না। বিশেষ করে সৌদিআরবে কাজ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া, কর্মীদের নিজেদের সঙ্গে পাসপোর্ট রাখা এবং ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন সুবিধা ভোগ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে লেবানন, ইউএই, জর্দান, ওমান, মারিশাস, কুয়েত, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশে নারী শ্রমিকরা কাজ করতে যাচ্ছে।২০০৪ সালে এই যাওয়ার হার ছিল ৬.৯৬%। ২০১৪ সালে এই হার হয়েছে ২১.৭%। অর্থ্যাৎ এক দশকে এই হার তিন গুণ বেড়েছে। ২০০৪ সালে ১১ হাজার ২৫৯ জন নারী শ্রমিক দেশের বাইরে কাজ করতে যায়। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা হয়েছে ৭৬ হাজার ৭ জন।
আরও খবর