“অর্থনীতির গতিপ্রবাহ বৃদ্ধি ও আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে চারটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে দুটি স্থলবন্দরের সবগুলোই হবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। ”
আজ শুক্রবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনকালে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান।
মন্ত্রী বলেন, “চারটি স্থলবন্দরের মধ্যে দুটি ভারতের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা ও ঘুমধুমে অন্য দুটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে। ”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রাঙ্গামাটির সম্ভাব্য স্থানে একটি স্থলবন্দর এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে খাগড়াছড়ির রামগড়ে অপর একটি স্থলবন্দর নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ” স্থলবন্দর নির্মাণ ও সীমান্ত হাট চালুর মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে বিরাজমান সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সফরকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন ফকির, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা থেকে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মাটির রাস্তা পাকাকরণ ও একটি ছোট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে খুব সহজেই মিয়ানমারের ফকিরাবাজার সীমান্ত শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যাবে। এ ছাড়া চাকঢালায় হলবন্দর নির্মাণ করা হলে পর্যটন শহর কক্সবাজারের ওপর বাড়তি কোনও চাপ ছাড়াই মাত্র ১৫ কিলোমিটার সড়ক পথ পেরিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক ধরে মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে।