মালয়েশিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপিত

Malayasia20170317130040মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আজ শুক্রবার উদযাপন করা হয়েছে।

দিনের কার্যসূচির শুরুতেই ছিল জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ। প্রথমেই পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম। এরপর বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে।

শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়ান ট্যুরিজম সেন্টারে (ম্যাটিক) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম। পরিচালনা করেন শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম।

আলোচনায় অংশ নিয়ে হাইকমিশনার প্রথমেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দেশের মানুষকে একটি শোষণহীন, সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন উপহার দিতে। শত জুলুম, অত্যাচার ও অবিচার কোন কিছুই তাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।

শহীদুল ইসলাম বলেন, জীবনের দীর্ঘ একটি সময় বঙ্গবন্ধুর কেটেছে কারাগারে। শ্রেষ্ঠ সময়ের এতগুলো বছর তিনি অকাতরে কারাগারে কাটিয়ে দিয়েছেন একটা আদর্শকে, একটা স্বপ্নকে ধারণ করে মানুষের কাছে সেগুলো পৌঁছে দিতে।

বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা অনুকরণীয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে আগত শিশুদের বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠ করার আহ্বান জানান শহীদুল ইসলাম। শিশুদের তিনি বঙ্গবন্ধুর দুটি গুণ আত্মস্থ করতে বলেন। এর একটি হলো অন্যায়কে মেনে না নেয়া, অন্যটি দেশকে ভালোবাসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকের বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ। যে স্বাধীন দেশ বঙ্গবন্ধু আমাদের উপহার দিয়েছিলেন তা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আজ শ্রদ্ধা জানানোর সহজ উপায় হলো তার আদর্শকে মাথায় নিয়ে যে যার অবস্থানে থেকে দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া।

দিবসটিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে গত ৯ মার্চ ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন। এরপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সেরা তিন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমোডর হুমায়ূন কবির, ফার্স্ট সেক্রেটারি এসকে শাহীন, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মশিউর রহমান তালুকদার, শ্রম শাখার ১ম সচিব হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, ২য় সচিব তাহমিনা বেগসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.