এবার জব্দ হল প্রিন্স মুসার বিলাসবহুল গাড়ি

musa-bg20170321190359কথিত ধনকুবের প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের ব্যবহৃত বিলাসবহুল একটি গাড়ি জব্দ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

শুল্ক ফাঁকি দেওয়া কালো রংয়ের রেঞ্জ রোভার গাড়িটি মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে ধানমন্ডি থেকে জব্দ করা হয়।

জানা যায়, গাড়িটি ভুয়া আমদানি দলিল দিয়ে ভোলা ঘ ১১-০০-৩৫ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়েছিল। কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রি ১০৪৫৯১১ তারিখ ১৩/১২/২০১১ এ ১৩০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ভোলা থেকে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এছাড়াও রেজিস্ট্রেশনে গাড়িটির রং সাদা উল্লেখ থাকলেও উদ্ধারকৃত গাড়িটি কালো রংয়ের।

কাস্টম হাউসের নথি যাচাই করে এ বিল অব এন্ট্রি ভুয়া হিসেবে প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রিন্স মুসা- বাসা ৫এ/বি, হাউস ৮, রোড ১০৪, গুলশান-২ এ গাড়িটি ব্যবহার করছেন।জব্দ রেঞ্জ রোভারএ বিষয়ে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিও শুল্ক গোয়েন্দার উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িটি অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়।

এর আগে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরকে গাড়ি হস্তান্তর করার জন্য সকাল ৮টায় নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু আগেই টের পেয়ে ধানমন্ডিতে আত্মীয়ের বাসায় বিলাসবহুল গাড়িটি লুকিয়ে রাখা হয়। প্রথমে গাড়িতে করে সকাল সাড়ে ৬টায় নাতিকে ধানমন্ডির একটি স্কুলে ডিউটিতে পাঠানো হয়।

শুল্ক গোয়েন্দার দল গাড়ির খোঁজ করতে প্রিন্স মুসার গুলশানের বাড়িতে গেলে তিনি স্কুল থেকে গাড়ি ধানমন্ডির হাউস ৫১-এ, রোড ৬এ-র লেকব্রিজ অ্যাপার্টমেন্টে লুকিয়ে রাখেন। স্কুল ছুটি হলে দুপুর ২টায় অন্য আরেকটি গাড়িতে করে নাতিকে গুলশানের বাড়িতে আনা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দার দল ধানমন্ডির বাড়ি থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় গাড়িটি উদ্ধার করে।

ভোলার বিআরটিএ থেকে জানা যায়, গাড়িটি পাবনার ফারুকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়। গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী গাড়িটি মুসা বিন শমসের ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেছেন।

এ ঘটনায় শুল্ক আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে তদন্ত শেষে মামলা ও পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.