শালা-দুলাভাইয়ের লড়াইয়ে দিনভর উত্তেজনা

4457283557d8120d10483bdc85d5b28a-sala-dulavai gfজোবায়ের আহম্মেদ অভি: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দিনভর উত্তেজনার কারণে ম্লান হয়ে গেছে মেয়র পদের প্রার্থীদের লড়াই। ভোটের দিন সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্র এবং এর আশপাশে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একাধিকবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

এ দুই প্রার্থী হলেন সলিমুল্লাহ সলু ও নুরুল ইসলাম রতন। নুরুল ইসলাম রতন সম্পর্কে সলুর বড় বোনের স্বামী। কাউন্সিলর পদের লড়াই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। ভোটের লড়াইয়েও সেটা স্পষ্ট ছিল।
দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সদ্য সাবেক কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলু এবার দলের সমর্থন পেয়েছেন। সলুর আগে ১৯৯৪ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন রতন। এবার দলের সমর্থন না পেলেও ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন রতন। কেন্দ্রটি সলুর বাসার লাগোয়া। এ সময় ভোটারদের লাইনে দাঁড় করানো এবং ভোটার নম্বর দেওয়া নিয়ে সলু ও রতনের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বেলা এগারোটার দিকে বরাব মোহনপুর স্কুলের সামনে দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি আর উত্তেজনা তৈরি হয়। একই সময়ে কাদেরিয়া মাদ্রাসার সামনে যুবলীগের এক কর্মীকে মারধর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপ্পু নামের ওই যুবলীগ কর্মী মেয়র প্রার্থী আনিসুল হকের পক্ষ হয়ে কাজ করছিলেন। পাশাপাশি তিনি নুরুল ইসলাম রতনেরও কাজ করছিলেন। সে কারণে সলুর সমর্থকেরা পাপ্পুকে মারধর করে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে নুরুল ইসলাম রতন ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে সলুর কর্মীরা বাধা দেন। এ সময় দু পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে রতন কেন্দ্রে প্রবেশ না করেই ফিরে যান। উত্তেজনার কারণে নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট আগেই ভোট নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.